লাল সিল্কের পাঞ্জাবি, ব্লক প্রিন্টের ধুতিতে এ এক অন্য পার্থ

বাড়ি থেকে গাড়ি চেপে এলেন নিজের নাকতলার মণ্ডপে। দরজা খুলে নামার পরই চমক।

একেবারে স্টেডিয়ামের বাইরে বল পাঠালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরনে ব্লক প্রিন্টের ধুতি, লাল সিল্কের পাঞ্জাবি, সঙ্গে ম্যাচ করা উত্তরীয়। সবমিলিয়ে এক্কেবারে অন্য রূপে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এদিন মেজাজটাও খোস ছিলো তাঁর। অকপটে বললেন, “জীবনে তিনবার ধুতি পরেছি। একবার বিয়েতে, দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ নেওয়ার দিন আর তৃতীয়বার আজ”।

পাঞ্জাবির রঙ লাল কেন, এই প্রশ্নের উত্তরও দিলেন সাবলীল ভঙ্গিতে। বললেন “লাল পাঞ্জাবি তাতে কী? সিঁদুরের রং লাল, রক্তের রং-ও লাল। লাল সিঁদুর, লাল আলতা যদি পরা যায়, লাল পাঞ্জাবি নয় কেন।” বললেন, “জামা-কাপড়ের রঙে কিছু এসে যায় না এবং লাল পাঞ্জাবিতে আমার আদর্শের পরিবর্তন হবে, তার কোনও চান্স নেই”।
ওদিকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজেগুজে নাকতলার মণ্ডপ আলো করে বসে আছেন শুনে একডালিয়ার কর্তা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের টিপ্পনি, ” এসব জমিদারিভাব দেখানোর ব্যাপার আমাদের নেই। এই ক’দিন মা দুর্গাই কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন, মা সাজেন। আমরা মা’কে সাজাই। আমি সেজেগুজে বসে থাকবো কেন? লোক তো এ কদিন মা’কে দেখবেন, আমাকে নয়।”