মহম্মদ বিন তুঘলক এবার নিশ্চিতভাবেই কবরে পাশ ফিরে শোবেন।

2016 সালের নভেম্বরে, নোটবন্দির পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 2000 টাকার নোট চালু করে যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘কালো টাকা রুখতেই 2000 টাকার নোট আনা হলো’।

তিন বছরে মোদি বুঝেছেন, ওসব ছিলো নেহাতই কথার কথা। 2000 টাকার নোট চালু করে কালো টাকা রুখে দেওয়া অসম্ভব।

তাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত,
“বেশি দামি নোট জমিয়ে রাখা এবং কালো টাকার প্রবণতা রুখতে এবার তুলে নেওয়া হবে 2000 হাজার টাকার নোট”। ইতিহাসে তুঘলকের কারেন্সি নিয়ে পাগলামির বিবরণ আছে। ইতিহাসের পাতা থেকে এবার উঠে এসে মোদির ওপর ভর করলেন সেই তুঘলক।

ইতিমধ্যেই 2000 টাকার নোট ছাপা কম
করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। চলতি অর্থবর্ষে একটি 2000 টাকার নোটও ছাপেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এক RTI-এর জবাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে,

আরও পড়ুন – কী বলতে যাচ্ছিল উৎপল, কেন থামালেন এস পি?

■ চলতি আর্থিক বছরে 2000 টাকার কোনও নোট ছাপাই হয়নি।

■ 2016-2017 সালে 354 কোটি 20 লাখ টাকার 2000 হাজারের নোট ছাপা হয়েছিল।

■ 2017-2018 সালে তা কমে আসে 11 কোটি 15 লাখে।

■ 2018-2019 সালে তা হয় 4 কোটি 60 লাখ।
সূত্রের খবর, 2000 টাকার নোট ছাপা একেবারে কমিয়ে আনা হয়েছে। বেশি দামি নোট জমিয়ে রাখা এবং কালো টাকার প্রবণতা রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটা তুলনায় নোটবন্দির থেকে ভালো। এতে অর্থব্যবস্থায় তেমন কোনও বিশৃঙ্খলা হবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত 3 বছরে অন্তত 50 কোটিরও বেশি জাল টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 2017-2018 সালে 17 হাজার জাল 2000 টাকা উদ্ধার হয়েছে। এ প্রসঙ্গে NIA-এর বক্তব্য, দামি নোটের হুবহু নকল বাড়ছে। পাকিস্তান বেশি দামি জাল নোট ছাপছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কালো টাকা রুখতেই নরেন্দ্র মোদি 2016 সালে 2000 টাকার নোট চালু করেছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত যে কার্যত মুখ থুবড়েই পড়েছে, এবার তা প্রমাণ হল।

আরও পড়ুন – বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করা নিয়ে মায়াবতীকে কটাক্ষ বিজেপির
