ক্রমশ ঘণীভূত হচ্ছে দেবাঞ্জন দাসের মৃত্যু রহস্য। নবমীর রাতে নিমতার বঙ্কিম মোড়ে গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল দমদমের বাসিন্দা দেবাঞ্জন দাসের দেহ। প্রথামিক তদন্তে ঘটনাটিকে গাড়ি দুর্ঘটনা বলেই জানায় পুলিশ। কিন্তু মৃত তরুণের পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করছিল, দেবাঞ্জনকে খুন করা হয়েছে। আর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট খুনের সম্ভাবনাকেই জোরালো করছে। গোটা ঘটনায় পুলিশেরই বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার।

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলেই দেবাঞ্জনের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এসেছে। সেখানে দেহে দু’টি ফুটোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি তাঁর ঘাড়ের বাঁ দিকে, অন্যটি ডান হাতের কনুইয়ের কাছে। গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে দেহে যে ধরণের আঘাত থাকার কথা, তেমন কোনও কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, দেবাঞ্জনের দেহে ওই ফুটো দু’টি গুলি লেগেই হয়েছে বলে অনুমান। তা হলে প্রথমেই কেন পুলিশ গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তত্ত্ব সামনে এনেছিল? এর কোনও সদুত্তর দিতে নেই প্রশাসনের কাছে। ঘটনাস্থল পরীক্ষায় গিয়েও তদন্তকারীরা গুলি পেলেন না কেন? সে প্রশ্নও উঠছে। এই হত্যার পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের রহস্য থাকতে পারে বলেও মনে করছেন দেবাঞ্জনের আত্মীয়রা।

আরও পড়ুন-দিলীপ ঘোষকে কাঠগড়ায় তুলে ‘নিরপেক্ষ’ হলেন রাজ্যপাল
