দিলীপ ঘোষকে কাঠগড়ায় তুলে ‘নিরপেক্ষ’ হলেন রাজ্যপাল

তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যপাল নিরপেক্ষ নন। সাংবিধানিক পদে বসে একটি বিশেষ দলের স্বার্থে কাজ করছেন। একের পর এক ঘটনায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে তৃণমূল রাজ্যের রাজ্যপালকে ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ বলে অভিযুক্ত করেছে। এর ফলে রাজনৈতিক মহলে রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এধরনের অভিযোগ রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়নও ফেলেছে। রাজ্যপালও সম্ভবত জানেন তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শাসক দল।

তবে এবার রাজ্যপাল প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন সত্যিই তিনি নিরপেক্ষ। আর তা করতে গিয়ে কাঠগড়ায় তুলে দিলেন বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকেই। দিলীপবাবুকে ‘বলি’ দিয়েই নিরপেক্ষ হতে সচেষ্ট হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।

বৃহস্পতিবারের আনন্দবাজার পত্রিকায় “দিলীপের উক্তির নিন্দায় রাজ্যপাল” শীর্ষক সংবাদে বঙ্গ-বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যপাল এ ধরনের কাজ করে থাকলে তা বিবেচনাপ্রসূত হয়নি।

প্রসঙ্গত, বুধবার যাদবপুরের প্রাক্তনীদের একদল প্রতিনিধি রাজভবনে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সঙ্গে। সেখানেই কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সেই প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের এ প্রসঙ্গে করা একটি মন্তব্য নিয়ে প্রাক্তনীদের তরফে অভিযোগ জানানো হয় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে। বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সার্জিকাল স্ট্রাইক করা হবে”। এরপরই তৃণমূল6 প্রশ্ন তোলে, দিলীপবাবুর মন্তব্য নিয়ে রাজ্যপাল নীরব রয়েছেন কেন? রাজ্যপাল কি বিজেপির রাজ্য সভাপতির উস্কানিমূলক মন্তব্য খেয়াল করেননি ?”
সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সঙ্গে দেখা করে গোটা বিষয়টি প্রাক্তনীরা জানালে রাজ্যপাল দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের নিন্দা করেন বলে জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরাই। তবে দিলীপবাবুর মন্তব্যের নিন্দা করার সময় রাজ্যপাল দিলীপ ঘোষের নাম উচ্চারণ করেননি বলে জানা গিয়েছে।

আর রাজ্যপালের এহেন আচরনেই ক্ষুব্ধ বঙ্গ-বিজেপি। নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্যপাল নিরপেক্ষ হতে চাইছেন। তাই যাদবপুরের ঘটনায় রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন। এই বিষয়টি সহজেই এড়িয়ে যেতে পারতেন রাজ্যপাল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি তা করেননি।

আরও পড়ুন-অর্থনীতির হাল ফেরাতে রুগ্ন ব্যাঙ্ক বিক্রির পরামর্শ অভিজিতের

 

Previous articleঅর্থনীতির হাল ফেরাতে রুগ্ন ব্যাঙ্ক বিক্রির পরামর্শ অভিজিতের
Next articleদেবাঞ্জন দাসের মৃত্যুতে জোরাল খুনের সম্ভাবনা