পৌষমেলা এ বছরও হবে, সিদ্ধান্ত বদল বিশ্বভারতীর, জানালেন উপাচার্য

অবশেষে মতবদল বিশ্বভারতী’র। কেটে গেলো এ বছর পৌষমেলা ঘিরে গড়ে ওঠা অনিশ্চয়তার মেঘ। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পৌষমেলা নিয়ে উচ্চস্তরের বৈঠকের পর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, মেলা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্বভারতী থাকবে। ফলে এ বছরের পৌষমেলা যথারীতি নির্দিষ্ট দিনেই হচ্ছে।

কিছুদিন আগে মেলার কারনে সৃষ্টি হওয়া দূষণের কারনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পৌষমেলা পরিচালনা থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তখন থেকেই অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিলো এই মেলার ভবিষ্যত।

শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বিশ্বভারতী আধিকারিক এবং বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদকে নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মেলা নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, আগের মতো একইভাবে পৌষমেলা হবে। তবে মেলার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, মেলার শেষে স্টল সরানোর জন্য CISF -এর সাহায্য নিতে চায় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও করে ফেলেছেন উপাচার্য নিজেই।

পৌষমেলাকে কেন্দ্র করে মাত্রাছাড়া দূষণ সৃষ্টির অভিযোগ এনে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। এই মামলা এখনও চলছে। গত 4 জুন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করে জানিয়ে দেয় তারা মেলা করতে পারবে না। সেই সিদ্ধান্ত এবার বদল করলো বিশ্বভারতী।

উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এ দিনের আলোচনায় ঠিক হয়েছে সমস্ত ধরনের লেনদেন অনলাইনে হবে। টেন্ডারও ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমেই করা হবে। পৌষমেলার স্টল বণ্টনও হবে পুরোপুরি অনলাইনে। এ জন্য খড়্গপুর IIT-র কারিগরি সাহায্য নেবে বিশ্বভারতী। এই প্রযুক্তি চালানোর জন্য 5জনকে খড়্গপুরে প্রশিক্ষণে পাঠাচ্ছে বিশ্বভারতী।
পরবর্তী বৈঠকে মেলার নিরাপত্তার নিয়ে আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন-ট্রেনের কনফার্ম টিকিটের জন্য আর অপেক্ষা নয়

 

Previous articleইঞ্জিন ছাড়াই ছুটল মালগাড়ি!
Next articleলোকসভা ভোটের পর প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন সোমবার