শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ঠিকই, তবে মহারাষ্ট্রে তিন দলের জোট সরকারের চালিকাশক্তি এনসিপিই। সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড়ে শিবসেনা ও কংগ্রেসের মত দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শের দলকে ক্ষমতার একসূত্রে বাঁধার ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন করেছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার, তাই প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাহীন উদ্ধবকে চালনার ব্যাপারে তাঁর দলের যে বড় ভূমিকা থাকবে তা মোটামুটি পরিষ্কার। এবার মন্ত্রিসভা গঠনেও এনসিপির দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিন দলের দীর্ঘ বৈঠকের পর ঠিক হয়েছে, মন্ত্রিসভায় এনসিপির প্রতিনিধিত্বই থাকবে সবচেয়ে বেশি।

বিধানসভায় আসনসংখ্যার বিচারে শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ ও কংগ্রেস ৪৪। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় শিবসেনার হাতে মুখ্যমন্ত্রী সহ ১৫ জন মন্ত্রী, এনসিপির হাতে ১৬ জন মন্ত্রী ও কংগ্রেসের ১২ জন মন্ত্রী থাকছেন। অর্থাৎ শিবসেনার চেয়ে একজন বেশি মন্ত্রী পাবে এনসিপি। এছাড়া উপমুখ্যমন্ত্রী পদও থাকবে এনসিপির দখলে। এই পদে শারদ পাওয়ারের বিদ্রোহী ভাইপো অজিতের নাম নিয়েই জল্পনা। অন্যদিকে কংগ্রেস উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে একজনই উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তবে স্পিকার পদটি দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেস বিধায়ক নানা পাটোলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন এই নানা পাটোলে। এরপর নরেন্দ্র মোদি ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বিরোধিতা করে ২০১৭ সালে সাংসদ পদ ও বিজেপি ছাড়েন। ফের প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। এবছর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে হেরে যান বিজেপির হেভিওয়েট মন্ত্রী নীতীন গডকড়ির কাছে। বিধানসভায় জিতে অবশেষে তিনি মহারাষ্ট্রের স্পীকার হলেন।

আরও পড়ুন-হায়দরাবাদের ঘটনা বিরাট ‘লজ্জাজনক’, প্রতিবাদে এগিয়ে আসার ডাক ক্যাপ্টেন কোহলির
