রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়াতে দেবেন না, পুলিশকে নির্দেশ মমতার

0
4

পাশের রাজ্য বা সীমান্ত পেরিয়ে রাজ্যে ঢুকে বাংলার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পারে কোনও উগ্রপন্থী সংগঠন। সে বিষয়ে সোমবার নবান্নে পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের কনফারেন্স হল থেকে রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ছাড়াও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র , এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং,কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

এদিনের বৈঠক ঘিরে নবান্নে যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। কোনও সংবাদমাধ্যমকে কনফারেন্স হলে ধরে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।
হায়দারাবাদের সংখ্যালঘু সংগঠন রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে কোন প্ররোচনামূলক প্রচার বা কাজকর্ম যেন রাজ্যে ছড়াতে না পারে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে সংগঠন গড়ে তুলতে তৎপর হয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল। এমনকী উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির প্রার্থী দিয়েছে তারা। মিমের নেতা ঘোষণা করেছেন, আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যে সব কেন্দ্রে প্রার্থী দেবেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেও মিমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন। দিন কয়েক আগে কোচবিহারের এক সভায় তিনি বলেন, “মিম হইতে সাবধান হোন। ওরা কিন্তু বিজেপির বি-টিম। ওরা বিজেপির কাছে টাকা নেয়। সংখ্যালঘুরা ভুল করবেন না। ওদের বাড়ি হায়দরবাদে। এখানে নয়।” সংখ্যালঘুদের একটি বড় অংশও মিমের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে যাতে না কোন মতেই কোন উস্কানিমূলক প্রচার চলতে না পারে সেদিকে প্রশাসনিক এবং পুলিশকর্তাদের কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।