Thursday, November 20, 2025

সিএবি পাশ হলে নথিপত্র না থাকলেও সমস্যা নেই হিন্দুদের, বোঝাচ্ছে বিজেপি

Date:

Share post:

নথিপত্র থাকুক বা না থাকুক, ভারতে থাকতে কোনও হিন্দুরই কোনও সমস্যা নেই। কারণ কোনও হিন্দুকেই ‘অনুপ্রবেশকারী’ মনে করবে না বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। সমস্যা হবে না অমুসলিম অন্য সম্প্রদায়গুলিরও। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি পাশ করানোর আগে নিজেদের হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে এভাবেই আশ্বস্ত করতে চাইছে বিজেপি। নতুন এই ‘সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল’ বা সিএবিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার ভিত্তিবর্ষ ধরা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪। অর্থাৎ এই সময়ের আগে যেসব হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মত তিন মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে শরণার্থী হয়ে এদেশে এসেছেন তাঁরা সবাই নাগরিকত্ব পাবেন। এক্ষেত্রে মুসলিমদের প্রশ্নটি অনুচ্চারিত আছে। এক্ষেত্রে বিজেপির ব্যাখ্যা, পার্শ্ববর্তী তিনটি মুসলিম দেশ থেকে মুসলিমরাও ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে এসে আশ্রয় চাইবেন এই ধারণা অমূলক। তাই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা মুসলিমরা নাগরিকত্ব পাবেন না।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদের দুই কক্ষে (লোকসভা ও রাজ্যসভা) পাশ হয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে। তখন তা ব্যবহার করেই অসম এনআরসিতে বাদ যাওয়া ১২ লক্ষ হিন্দুকে নাগরিকত্ব দেওয়া সহজ হবে। বিজেপির বক্তব্য, সিএবি পাশ হওয়ার পর গোটা দেশে এনআরসি লাগু হলে কোনও হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষেরই আর অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার ভয় থাকবে না। নতুন নাগরিকত্ব আইনের সাহায্যেই তখন শরণার্থী হিসাবে তাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। এজন্য ১৯৫৫ সালের আইনের কিছু শর্তও শিথিল করা হয়েছে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলে।

কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ঘোষিত ভারতে এভাবে ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিতে আইন করা কি সঙ্গত? এর জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের যুক্তি, ভারতে হিন্দুরা যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সেই বাস্তবকে অস্বীকার করা যাবে না। বিশ্বে মুসলিম, খ্রিস্টান এমনকী বৌদ্ধ রাষ্ট্রও অনেক আছে। কিন্তু হিন্দুরা ধর্মের কারণে অন্য দেশে বিপন্নতার মুখে পড়লে তাদের ভারত আশ্রয় দেবে না তো কে দেবে? বরং যেসব অনুপ্রবেশকারীর জন্য এদেশের বৈধ নাগরিকদের অধিকার সংকুচিত হচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা হোক। ভারতীয় মুসলিমদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তাঁরা তো এদেশেরই নাগরিক!

spot_img

Related articles

এবার কোন্নগর! এসআইআর ফর্ম বিলির চাপে সেরিব্রালে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিএলও

এসআইআর ফর্ম বিলি ও সংগ্রহের অতিরিক্ত চাপে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন কোন্নগরের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও বিএলও তপতি...

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যের সহানুভূতি স্কলারশিপ! জানুন আবেদন পদ্ধতি

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যের সহানুভূতি স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নবম থেকে কলেজ স্তরের পড়ুয়াদের জন্য...

বালিতে যুব তৃণমূলের প্রতিবাদ-মিছিলে জনস্রোত! বিজেপির SIR চক্রান্তের অভিযোগ স্নেহাশিসের

বাংলার প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দিতে তাড়াহুড়ো করে এই রাজ্যে এসআইআর করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এর বিরুদ্ধে আমরা...

পুরসভা প্রতিবাদের আঁতুড়ঘর! বাংলার মনীষীদের অপমানের ঘটনায় কড়া সুর মেয়রের

বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও মনীষীদের ক্রমাগত অপমান-অসম্মানের বিরোধিতায় উত্তাল হল কলকাতা পুরসভা। ডবল ইঞ্জিন বিজেপি সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা যেভাবে রামমোহন...