হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ-খুনের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে নির্মম সত্য। ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত চারজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে সাইবারাবাদ পুলিশ। সেখানেই মূল অভিযুক্ত জানিয়েছে, খুন করে নয়, জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে তরুণীকে।

জেরায় সে কবুল করে, গণধর্ষণের সময় তরুনীর হাত-পা বেঁধে মুখে মদ ঢেলে দেওয়া হয়। তিনি অচেতন হয়ে পড়লে চলে পাশবিক অত্যাচার। এরপরে লরিতে করে তাঁকে নিয়ে গিয়ে চাতানপল্লির কালভার্টের নীচে জ্বালানোর পরিকল্পনা হয়। খুনের পরিকল্পনা প্রথমে তাদের ছিল না বলেই জানিয়েছে মূল অভিযুক্ত। কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় তরুণীকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তাদের ধারণা ছিল, তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু যখন নির্যাতিতার গায়ে পেট্রোল ঢালা হয়, তখন দুষ্কৃতীরা বুঝতে পারে, তিনি বেঁচে আছেন। তখনই নির্যাতিতার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় 27 বছরের পশু চিকিৎসকের।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের এই স্বীকারোক্তি তদন্ত কাজে আসবে বলে আশা করছে পুলিশ।