রাহুলকেই সভাপতি চান, দলকে এই ‘বার্তা’ দিয়েই দায়িত্ব ছাড়বেন সোনিয়া

পরিবারবাদেই আটকে আছে শতাব্দী-প্রাচীন দল। তাই সাফল্য-ব্যর্থতা যাই থাক, গান্ধী পরিবারই কংগ্রেসের ঐক্যসূত্র। নেতৃত্বে থাকবেন গান্ধী পরিবারের সদস্যই। আর এবার এটা স্পষ্টভাবে দলকে বোঝাতে নেমে পড়লেন খোদ সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীই। রাহুল স্বদেশে থাকুন বা ঘনঘন বিদেশে ছুটি কাটান, তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচনে দলের হারের রেকর্ড হোক বা তিনি আমেথির মত কেন্দ্রে হারুন, সেসব যাই হোক না কেন, সোনিয়া তথা কংগ্রেসের স্বাভাবিক উত্তরসূরী রাহুল গান্ধীই। দলের সভাপতিত্বে তাঁর ফেরা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর সেই লক্ষ্যেই চিত্রনাট্য সাজাচ্ছেন তাঁর মা সোনিয়া।

লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয় এবং রাফাল ইস্যুতে বিজেপি বিরোধী প্রচার বুমেরাং হওয়ার পর আত্মসমীক্ষা না করেই মাঝপথে দায়িত্ব ছাড়েন রাহুল। এক মাসেরও বেশি সময় কংগ্রেস কার্যত নেতৃত্বহীন থাকে। এরপর অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে হাল ধরেন সোনিয়াই। তিনি শীর্ষপদে আসার পর সংগঠনের উপরমহল ও রাজ্য নেতৃত্বে প্রবীণ বনাম নবীন দ্বন্দ্ব প্রকট হতে থাকে। দলে সোনিয়া ঘনিষ্ঠ আহমেদ প্যাটেল, অশোক গেহলট, ভূপেন্দ্র সিং হুডা প্রমুখ একাধিক নেতা শক্তিশালী হন ও রাহুল ঘনিষ্ঠ নেতাদের অনেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এই কয়েক মাসে দলে কার্যত সমান্তরাল দুটি লবি চললেও তা থামাতে সক্রিয় হননি সোনিয়াই। আর রাহুলও সংগঠন বা সংসদে সক্রিয় না থেকে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন বিদেশে। নাগরিকত্ব বিল নিয়েও রাহুলের উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকা চোখে পড়েনি। অবশেষে জল মেপে দলের শীর্ষপদে রাহুলকে ফেরানোর বার্তা দিতে নিজেই এগিয়ে এলেন সোনিয়া। দিল্লির ভারত বাঁচাও সমাবেশে যেন রাহুলেরই দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর মহড়া হয়ে গেল। প্রিয়াঙ্কাকে আড়ালে রেখে রাহুলকে সামনে এগিয়ে দিলেন সোনিয়া। এই দৃশ্যে রাহুল শিবিরও চাঙ্গা। উৎসাহিত সাধারণ কর্মী-সমর্থকরাও। এরপর রাহুলকে সর্বসম্মতভাবে সভাপতি পদে জিতিয়ে আনাই সোনিয়া গান্ধীর লক্ষ্য, যে বার্তা তিনি নিজেই দিতে শুরু করেছেন।

 

Previous articleBIG BREAKING: উন্নাওয়ে ধর্ষণ-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার, ১৯ তারিখ সাজা ঘোষণা
Next articleসারদেশ্বরী আশ্রমের রজত জয়ন্তী বর্ষে আনন্দে মাতোয়ারা ভক্তরা