Monday, November 17, 2025

এই movement কেউ থামাতে পারবে না

Date:

Share post:

সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঘা যতীন এলাকায় নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত তরুন-তরুনীদের উপর “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি দিয়ে হামলাকারীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রতিবাদে সরব হলেন বিশিষ্ট লেখিকা সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

যে প্রজন্মকে আমরা ভেবেছিলাম যে ডাকলে সাড়া দেয় না, ফোন মুখে বসে থাকে, বাংলাটা বলে না, হেমন্ত শোনে না, রবীন্দ্রনাথ পড়ে না; যে ছেলে মেয়ে গুলোকে আমরা ভেবেছিলাম স্বার্থপর, দেশে জন্মায় কিন্তু বিদেশে চলে যাওয়ার জন্য উন্মুখ, নিজের দেশকে এড়িয়ে কোনমতে কেটে পড়তে চায়- সেই প্রজন্ম কিন্তু ঘুরে দাঁড়ালো। বুঝিয়ে দিল যে আমরা ভুল ভেবেছিলাম এদের। এমন কি বম্বের মত শহর, যে শহরে কারোর জন্য কারোর কোন ‘টাইম’ নেই, সেই শহরের ছেলেমেয়েরাও আন্দোলনে ফেটে পড়ল, রাস্তায় বেরিয়ে এল, এবং এই movement কেউ থামাতে পারবে না। কারণ এখানে ছেলেমেয়েরা স্বেচ্ছায় বন্দুকের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছে। কোথাও একটা পড়লাম এই আন্দোলনটা snow ball এর মত, যত গড়াচ্ছে বড় হচ্ছে। যারা এখনো aloof থাকার চেষ্টা করছেন, আমি জানি সবার মধ্যেই নানারকম ভয়, সীমাবদ্ধতা, কিন্তু মনে মনে একবার নতুন করে ভাবুন যে এত অত্যাচার চোখের সামনে দেখেও চুপ করে থাকবেন কিনা। অনেক সময়ই মানুষ নবজাগরণের চিহ্ন গুলো পড়তে পারে না। অনেক সময় সমসাময়িক শিল্প, সাহিত্য, সিনেমা আমাদের বিশ্বাস করায় যে নৈরাশ্যেই সব শেষ, নৈরাজ্যই আসল। কিন্তু জীবন শিল্পের থেকে বড়। তাই এই যে মন্ত্রের মত বলে গেছি আমরা,” যে কিছুই হবে না, কিসুই হয় না, প্রতিবাদ করে কি হয়!” এটা কিন্তু ঠিক না। হল তো? চোখের সামনে দেখলেন তো হিন্দুরা ফেটে পড়ল মুসলমানদের অপমানে, অবমূল্যায়নে। ফেটে পড়ল ছাত্রদল। এবং সেই পাশে থাকার আশ্বাস পেয়ে মুহূর্তে মুসলমানরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনের পথে এগোল। এই বিশ্বাসটা তৈরি হতে দেওয়া হয় না। কেন ছাত্রদল মুসলমানদের জন্য দাঁড়িয়ে গেল এভাবে? কারণ তারা প্রতিদিন মেলামেশা করে। মেলামেশা করলেই বোঝা যায় মানুষ সেই শেষমেশ এক! থোড়বড়িখাড়া, খাড়াবড়িথোড়। আমরা মিশি না। ফলে বুঝি না। 70 বছর ধরে আমাদের মেলামেশা বাড়েনি। ওই কোনমতে পাশাপাশি চলেছে। ফলে পান থেকে চুন খসলেই ভয় এসে দাঁড়ায়। অবিশ্বাস এসে দাঁড়ায়। কিন্তু সেই ভয় আর অবিশ্বাসের culmination pointএ পৌঁছে যাওয়ার পর আজ মানুষ রাস্তায় নেমেছে। এবং সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যাদের #NRCর ভয় নেই তারাও রাস্তায় নেমেছে। কারণ এই সরকারের প্রতিটা কার্যকলাপ জনবিরোধী। সেগুলো আর এই সাত সকালে নতুন করে উল্লেখ করলাম না।

spot_img

Related articles

বাংলায় ঢালাও সুবিধা, সেই সব দাবিতে ডবল ইঞ্জিন অসমে পথে চাবাগান শ্রমিকরা

প্রতিবেশী রাজ্যে ঢালাও সুবিধা। জীবনযাপনের মান থেকে পরিবারের নিরাপত্তায় একের পর এক দায়িত্ব পালন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata...

শুট অ্যাট সাইট নির্দেশ ইউনূস প্রশাসনের! হাসিনার রায় বেরোনোর আগে উত্তপ্ত ঢাকা

বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Shiekh Hasina)। সেই অভিযোগের বিচার...

আরজেডি শিবিরে অশান্তি অব্যাহত, শহর ছাড়লেন লালুর চার কন্যা

নির্বাচনে হারের পর থেকে সময়টা কিছুতেই ভালো কাটছে না আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর দল আরজেডির...

ঝাড়খণ্ডের দুমকায় বিধবাকে পুড়িয়ে খুন! প্রেমিক গ্রেফতার, পলাতক স্ত্রী

ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড! শিকারিপাড়া থানা এলাকার সীতাশাল গ্রামে তিন বছরের সম্পর্কে থাকার পর ২১ বছরের বিধবা...