Wednesday, December 24, 2025

“বিজেপির গ্রহণ লেগেছে”, যৌথ মিছিল শেষে মোদি-শাহকে কটাক্ষ সূর্যের

Date:

Share post:

NRC এবং CAA প্রতিবাদে শুক্রবার শহরের বুকে বিশাল মিছিল করলো বাম এবং কংগ্রেস। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল শেষ হয় মহাজাতি সদনে। যেখানে ২০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। আর এই মিছিল শেষেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিজেপিকে কটাক্ষ করেন।

তিনি বলেন, “গতকাল গ্রহণ ছিল। দামি চশমা পরেও দেখতে যা দেখতে পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উনি শুধু গ্রহণ কেন, গোটা দেশে কী হচ্ছে দেখতে পাচ্ছেন না। ওনাকে তো আর বাজারে যেতে হয় না। ঝাড়খণ্ড দেখিয়ে দিয়েছে, ওনার দলের গ্রহণ লেগেছে।”

এরপরই সূর্যকান্ত মিশ্র মিছিলে হাঁটা মানুষের উদ্দেশে বলেন, “আমরা NRC-CAA হতে দেব না। এই মিছিল শেষ নয়। আপনারা দেখা থেকে ফিরে গিয়ে নিজেদের এলাকায়
ধর্মঘটের কমিটি তৈরি করুন। যে যেখানে আছেন নিজেদের ঝান্ডা ধরে কমিটি করুন। ৮ জানুয়ারি বনধ সফল করুন।”

সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের দাবি, ভালোবেসে বিজেপিকে কেউ ভোট দেননি। বিজেপির বিকল্প তৃণমূল নয়। মানুষ বিজেপির বিকল্প। মানুষ ইতিহাস তৈরি করে। মানুষই বিজেপিকে দেশ থেকে তাড়াবে।

মিছিলে আর কারা কী বললেন–

বিমান বসু (বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান):

জাত-ধর্ম-বর্ণ বিভাজনের বিরুদ্ধে যারা, তারাই এই মিছিলে অংশ নিয়েছে। ২০ টি দল আগামীদিনে একসঙ্গে সব কর্মসূচি পালন করবে। বনধ করবে এই ২০টি দল একসঙ্গে।

প্রদীপ ভট্টাচার্য (কংগ্রেস নেতা):

সারা ভারতের মানুষ ফের একদিন বলবে। আজ বাংলা যেটা বলবে, সারা দেশ কাল সেটা ভাবে। আমরা ভাই ভাই এক থাকবো। কোনও বিভাজনে থাকবো না। NRC-CAA চালু হতে দেব না। বাম ও কংগ্রেসের এই মহামিছিল আগামীদিনে জন জাগরণ তৈরি করবে।

সমীর পুততুন্ড (পিডিএস নেতা)

আজকের এই মিছিল বাংলার, ভারতের বুকে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে, বিভাজনের প্রশ্ন এই মিছিল। সারা দেশ দেখছে মানুষ জেগে উঠেছে। জাত-ধর্মের ভিত্তিতে শাসক যা করছে, তাতে আগামীদিনে আরও সংশোধন আনবে ওরা। দেশকে বিপদে ফেলবে। যতদিন এই CAA প্রত্যাহার না করবে, এই লড়াই চলবে।

সোমেন মিত্র (প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি):

শুধু ৮ জানুয়ারি বনধ পালনের মধ্যে দিয়ে আমাদের কাজ শেষ হবে না। যতদিন কালা কানুন CAA প্রত্যাহার না হবে আন্দোলন চলবে। প্রধানমন্ত্রী রামলীলা ময়দানে দাঁড়িয়ে বলছেন ২০১৪ সালের পর থেকে NRC নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে আরেক কথা বলছেন। কে ঠিক? যারা লোকসভা বা বিধানসভার সদস্য, তাঁরা জানেন সভা কক্ষে কেউ ভুল তথ্য দিলে, তাঁদের পদত্যাগ করতে হয়। আর না করলে কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইমপিচমেন্ট করা হবে না? আমাদের এই লড়াই দীর্ঘজীবি হোক।

spot_img

Related articles

পার্থ ভৌমিকের ভাবনায় কাঁপা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অভিনব উদ্যোগ! হবু কনেদের জন্য ‘দুয়ারে বেনারসি’

হবু কনেদের জন্য অভিনব উদ্যোগ নৈহাটি (Naihati) বিধানসভার কাঁপা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের। 'দুয়ারে বেনারসি' নামে চালু প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী...

ভারতীয় ফুটবলে বড় ধাক্কা, মুম্বই সিটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে সিটি গ্রুপ!

ভারতীয় ফুটবলে বড় ধাক্কা! আইএসএলের অনিশ্চয়তার কারণে মুম্বই সিটির (Mumbai City FC) সঙ্গে বিচ্ছেদ হতে চলেছে প্রধান ইনভেস্টর...

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের, আপাতত স্বস্তি GTA-র ৩১৩ শিক্ষকের

আপাতত স্বস্তি GTA-র ৩১৩ জন শিক্ষকের। কলকাতা হাই কোর্টের (Kolkata High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর...

সংবিধানকে আঘাতেও বধির প্রধানমন্ত্রী! খ্রীষ্টানদের উপর হামলায় ক্ষোভ সংগঠনের, তোপ ডেরেকের

শান্তিপূর্ণ ক্যারল গায়কদের উপর হামলা। নির্দিষ্টভাবে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের উপর যেভাবে একাধিক রাজ্যে হামলার ঘটনা ঘটছে এবার তার...