যে ভাষায় কথা বলেছিল এবিভিপি, ঘটনার পর যে যে অভিযোগ করেছিল তারা, সেই অভিযোগের সুর জেএনইউর রেজিস্ট্রারের। বিশ্ববিদ্যালয় রক্তাক্ত হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার সরাসরি আক্রান্ত ছাত্রদের ঘাড়েই দোষ চাপালেন। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানাচ্ছেন, পরপর তিনদিন রেজিস্ট্রেশন করতে বাধা দিয়েছে সংসদের ছাত্ররা। কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের ঘরে ঢুকে কখনও ইন্টারনেট বন্ধ করেছে, স্টাফদের ভয় দেখিয়ে বের করে দিয়েছে। কখনও ভাঙচুর করেছে। এই কারণে পুলিশে অভিযোগও জানানো হয় ৪জানুয়ারি। যারা রেজিস্ট্রেশন করতে চায় তাদের বাধা দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ৫জানুয়ারি যারা রেজিস্ট্রেশন করতে চেয়েছিল ওদের বাধা দেওয়া হয়। দুপুর থেকে দু’পক্ষের লড়াই চলছিল। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রেজিস্ট্রেশন বিরোধী পড়ুয়ারা মারধর করে অন্য পক্ষকে। তাদের কেউ কেউ মুখ বেঁধে এসেছিল। এরপর তারা হস্টেলে হামলা চালায়। এরা সকলেই আন্দোলনকারী পড়ুয়া!

তদন্তের আগেই রেজিস্ট্রারের দোষীদের চিনে নেওয়ার এই ঘটনা বিস্মিত করেছে সকলকে। ক্ষুব্ধ প্রতিবাদী পড়ুয়ারা বলছেন, যদি তাই-ই হয়, অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিচ্ছেন না কেন? এসএফআই নেতা ঐশী বলেন, এটাই স্বভাবিক। কেন্দ্র আর বিজেপির প্রতিনিধি হিসাবে উনি কাজ করছেন। এর বাইরে অন্য কথা বলবেন, আশাও করি না।
