একে দিলীপে রক্ষা নেই, এবার বেলাগাম সৌমিত্র, সায়ন্তন, সুভাষ। বুদ্ধিজীবীদের কদর্য ভাষায় আক্রমণ করে বিজেপির তরুণ নেতা সায়ন্তন বসু সোমবার বললেন, বিশিষ্টজনদের ‘কুকুর’ কথায় আপত্তি থাকলে তাঁদের ‘বাঁদর’ বলুন!

ঘটনার সূত্রপাত সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিরোধী ও বিশিষ্টজনদের আন্দোলন নিয়ে। সে নিয়ে বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রবিবার বসিরহাটে বলেন, বুদ্ধিজীবী বলে যারা রাস্তায় নামছেন, আসলে তারা শয়তান। শিক্ষকরাই আসলে বুদ্ধিজীবী। এখানেই না থেমে সৌমিত্র বলেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই সব বুদ্ধিজীবীরা নিয়মিত টাকা পায়। যারা পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড নিয়ে চুপ থাকে, তারা আসলে তৃণমূলের কুকুর। এই মন্তব্যের পর শিক্ষিত মহলে নিন্দা শুরু হয়। চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সায়ন্তন সৌমিত্রর পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, বিশিষ্টদের যদি ‘কুকুর’ শব্দে আপত্তি থাকে তাহলে ‘বাঁদর’ বলতেই পারেন। ওদের আনা হতো পাঁচশো টাকা দিয়ে। এখন টাকা দেওয়া হচ্ছে না তাই আসছে না, ভিড়ও হচ্ছে না। আর সায়ন্তনকে সমর্থন করে দলের বাঁকুড়ার সাংসদ তথা চিকিৎসক সুভাষ সরকারের কুকথায় রাজনৈতিক মহল যার পর নাই বিস্মিত। তিনি বলেন, যাদের বুদ্ধিজীবী বলা হচ্ছে, আসলে তারা ধান্ধাজীবী।

বেলাগাম বক্তব্যে বিরোধীরা বিজেপির সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আসলে এর মধ্যে দিয়ে একটা রাজনৈতিক দলের সংস্কৃতি বোঝা যায়। বাংলার রাজনীতিকে এরা নর্দমায় নামিয়ে আনছে। তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, বাংলার মানুষ সব দেখছেন, শুনছেন। তাঁরা জানেন কীভাবে জবাব দিতে হয়। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর সাফ কথা, এটা কিসের প্রতিযোগিতা হচ্ছে? এ আমরা কোথায় যাচ্ছি! রাজনীতি না কাদা ছোড়াছুড়ি!