ফের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ঘিরে ধরে নজিরবিহীন ও অভিনব প্রতিবাদ একদল শিক্ষকের। আজ, শনিবার নিউটাউনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় রাজ্যপালের সামনে অর্ধনগ্ন হয়ে থালা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন রাজ্যের বেশকিছু বৃত্তিমূলক শিক্ষক।

বেশ কয়েকটি দাবি-দাওয়া নিয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষক-শিক্ষিকারা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবং আদালতে তাঁরা জানিয়ে ছিলেন তাঁদের দাবি-দাওয়ার না মানা হলে, তাঁরা একটি অবস্থান বিক্ষোভ করবে। সেইমতো আদালত তাঁদের ১৫ দিনের অনুমতি দেয়। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা কারিগরি ভবনের উল্টোদিকে রাস্তার ধারে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

আজ তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ ১৩ দিনের পড়ল। এবং ১৩ দিনের মাথায় তাঁরা যখন খবর পান রাজ্যপাল নিউটাউনের একটি কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন, ঠিক তখনই শিক্ষকদের একাংশ জামা খুলে অর্ধনগ্ন অবস্থায় থালা হাতে নিয়ে রাস্তার পাশে বসে পড়ে সারিবদ্ধ ভাবে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।

ঠিক সেই সময় রাজ্যপাল রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন সারিবদ্ধভাবে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষকরা। রাজ্যপাল যাতে বিক্ষোভের মুখে না পড়েন তাই দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় টেকনো সিটি থানার পুলিশ। এবং তাঁরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
বৃত্তিমূলক যৌথ মঞ্চের দাবির প্রস্তাবঃ

১) পার্ট টাইম ও কন্ট্রাকচুয়াল প্রথার বিলোপ করে শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের স্থায়ী পদ গঠন।

২) সকলের জন্য ১২ মাসের বেতন। নিয়োগের সময়ে উল্লিখিত নূন্যতম যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস। (শিক্ষকদের ‘গ্রুপ বি’, প্রশিক্ষকদের ‘গ্রুপ সি’ এবং নৈশ প্রহরীদের ‘গ্রুপ ডি’ – এর পদমর্যাদা ও বেতন)।

৩) কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক নিয়োগ কমিশন গঠনের মাধ্যমে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ চালু করা।

৪) সাধারণ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সমান সুযোগ সুবিধা তাঁদের বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের প্রদান। এরই সঙ্গে নবম ও দশম শ্রেনীতে ভোকেশনাল চালু করা এবং VIII+ এর স্বল্পমেয়াদী কোর্স গুলিকে এক বছরে রূপান্তরিত করা।

আরও পড়ুন-বাঘ চিবোচ্ছে প্লাস্টিকের ড্রাম! ছবি ঘিরে তোলপাড় স্যোশাল মিডিয়া
