বোনের স্মৃতিতে ট্যাক্সি ড্রাইভার সইদুল লস্করের তৈরি মারুফা মেমোরিয়াল হাসপাতাকে কোয়ারেন্টাই সেন্টার হিসেবে নিতে চলেছে সরকার। এই খবর চাউর হওয়ার পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।

আজ, শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সীতাকুন্ডুর অন্তর্গত পুঁড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ হাসপাতালের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাঁদের প্রশ্ন, কেন করোনার মতো ভাইরাসকে গ্রামে ডেকে আনছে সইদুল। এরপর প্রায় শ’খানেক বাসিন্দা হাসপালের ভাঙতে উদ্যতো হয়।

ওই হাসপাতালের একটি ছোট্ট ঘরেই স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকেন ট্যাক্সি চালক সইদুল। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান বারুইপুরের বিডিও মহম্মদ মোশারফ হোসেনকে। তিনি দেরি না করেই পুলিশে খবর দেন। খুব তৎপরতার সঙ্গে সইদুলের হাসপাতালে পৌঁছে যায় পুলিশ।

পুলিশের সামনেও বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলতে থাকে। তাদের দাবি, এই হাসপাতালকে কোনওভাবেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানাতে দেওয়া হবে না। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে, বিডিও জানিয়েছেন হাসপাতাল ও সইদুলের পরিবারের পুরো দায়িত্ব নেবে প্রশাসন। সেইমতো ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে। প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা হাসপাতালে নজরদারি চালাবে পুলিশ। রাখা হবে নিরাপত্তারক্ষীও।
