ফের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা !
করোনা ভাইরাস পজিটিভ রোগীকে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে৷
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করার পর সর্বস্তরে নানা বিতর্ক তৈরি হয়৷ প্রশ্ন ওঠে, করোনা-চিকিৎসার পরিকাঠামো কি রাজ্য নেই ?
রাজ্য সরকার কি তা হলে এবার করোনা হলে সরকার বাড়িতেই থাকতে বলছে?
এই ধরনের প্রশ্ন ওঠার পর ফের নির্দেশিকা জারি করতে হলো রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে৷ এখানে বলা হয়েছে, করোনা পজিটিভি রোগীকে হাসপাতালেই এনে চিকিত্সা করা হবে৷ এবং তা আবশ্যিক৷
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘নিজের বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টিন করতে পারবেন । তাঁকে তুলে আনতে হবে না। যাঁদের আশ্রয় রয়েছে, বাড়ি রয়েছে, তাঁদের কারও করোনা হলে, বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইন করে রাখা যাবে। হোম কোয়ারেন্টাইন সবচেয়ে ভাল মডেল। সকলেই চান নিজের বাড়িতে থাকতে। ফলে যদি কেউ মনে করেন, তা হলে তাঁরা বাড়ি থেকে চিকিৎসা করতে পারবেন। স্বাস্থ্য় দফতর গোটাটা মনিটারিং করবে। টেলিমেডিসিনের মাধ্য়মে বাড়িতেই চিকিৎসা হতে পারে৷’
মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় সোমবার রাতেই জারি করা স্বাস্থ্য দফতরের নোটিসে বলা হয়েছে, করোনা পজিটিভ রোগীর প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি কনট্যাক্টকেই শুধু মাত্র হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিত্সা করা যাবে৷ যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা বা ঘর থাকে৷ তা হলে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে না-রেখে তাঁকে বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে৷ সামাজিক দূরত্ব, মাস্কের ব্যবহার সহ যাবতীয় পরামর্শও মানতে হবে ওই ব্যক্তিকে৷ নোটিসে আরও বলা হয়েছে, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা স্বাস্থ্য দফতর মনিটরিং করবে, প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থাও নেবে স্বাস্থ্য দফতর৷