
ereaders-এর একমাস।

স্বীকৃতি চাই না, শুধু মনে রাখুন

ereaders.co.in ঠিক একমাস হল।
২২ মার্চ জনতা কার্ফু।
২৫ মার্চ থেকে লকডাউন।
২৭ মার্চ থেকে ভাবনা: ই-বুক প্রকাশ করা যাক।
১ এপ্রিল: https://ereaders.co.in ওয়েবসাইটের জন্ম এবং প্রথম ই-বুক ” হাফ ডজন গপ্পো” প্রকাশিত।
৩০ এপ্রিল: প্রকাশিত ই-বই সংখ্যা ১৯.
সাইটে হিট ২ লক্ষ ২৫ হাজার।
সারা বিশ্বের পাঠকপাঠিকারা সাড়া দিচ্ছেন। এই সংখ্যাটা বুস্ট না করে। পুরো অর্গানিক।

করোনাযুদ্ধের লকডাউনে এই কাজটা সহজ ছিল না।
সবাই আলাদা।
তার মধ্যেই লেখা, অলংকরণ, তথ্যপ্রযুক্তির কাজ।

ছোট্ট টিম। কিন্তু শখ ছিল, জেদ ছিল, লকডাউনের মধ্যে অন্য সব কর্তব্য পালন করেও আমরা দেখাব, নতুন ই-বই বার করা যায়।
সাহিত্য ও প্রযুক্তির আধুনিকতম সেতুবন্ধন।
সেটা করে দেখানো গেছে।
সারা বিশ্বে এমন ভাবনা ভেবে এখন কেউ কাজ করেছে বলে এখনও খবর নেই।

পাঠকমহলের সাড়ায় আমরা আপ্লুত, উৎসাহিত।
ভুলত্রুটি আছে, সংশোধন করে এগোব।
একই ই-বইতে গদ্য এবং ভিডিও, এই অভিনবত্বও সাফল্যের সঙ্গে পরিবেশিত।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সংশ্লিষ্ট সকলকে। লেখক লেখিকারা; গায়করা; শিল্পীরা; অলংকরণের সৃঞ্জয় পাল; তথ্য প্রযুক্তির আজরা খান ও তাঁর টিম।

অবশ্যই ধন্যবাদ বর্ষীয়ান রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তিনি লিখছেন, ভিডিও পাঠাচ্ছেন। ধন্যবাদ জয় গোস্বামীকে, করোনা নিয়ে টাটকা কবিতাসহ তাঁর প্রথম ই-বই নির্বাচিত সংকলন করা গেল। ধন্যবাদ যোগেন চৌধুরীকে, তাঁর সহযোগিতায় প্রথম ই-অ্যালবামও হল। ধন্যবাদ নবীন- প্রবীণ সকলকে। স্রেফ নতুন কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে থেকে এই অভিযান চলছে।

ই-রিডার্স টিম আরও উৎসাহ নিয়ে আগামী দিন কাজ করবে। নতুন পরিকল্পনা চলছে। লকডাউনপর্ব শেষের পরেও লম্বা দৌড়।

এই যে এইসময় এত বড় পরীক্ষামূলক কাজটা হল এবং সফল হল, তাতে বহু শুভেচ্ছাবার্তা ও ইতিবাচক মতামত পাচ্ছি। কিন্তু তথাকথিত মূলস্রোত মিডিয়া এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন সব দেখেও এর স্বীকৃতি দেবেন না। তাঁদের বুকে ব্যথা হচ্ছে। তাঁরা ভাবেন নি। করতে পারেন নি। লকডাউনের নেতিবাচক অন্ধকারের মধ্যেও নতুন সময়োপযোগী কাজের পথে যান নি। যাঁরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। যাঁদের বিরূপতা স্পষ্ট, তাঁদের জন্য থাকল বার্নল!

একটি কাগজ এরমধ্যে লিখেছিল বাঙালি বইবিমুখ হচ্ছে এখন।
সঙ্গে সঙ্গে চিঠি দিয়ে বলি, এই বাংলা থেকেই ই-বুক হচ্ছে। তাতে বিশ্বব্যাপী সাড়া। বইবিমুখ নয় বাঙালি। বই পেলেই পড়ছে।

কই, তাঁরা চিঠি এখনও ছাপলেন না। সম্ভবত তাঁদের প্রতিষ্ঠিত হাউসের বাইরে নতুন মঞ্চের সাফল্য তাঁরা দেখাতে চান না।

আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি এরপর কয়েকটি বড় হাউস ই-বইয়ের পথে যাবেন এবং এমন ভাবসাব হবে যেন তাঁরা নতুন কিছু করছেন।

ওসব চিরকাল দেখে এলাম।

আমার শুধু পাঠকপাঠিকাদের কাছে অনুরোধ, স্বীকৃতি চাই না। শুধু মনে রাখবেন, লকডাউনের কঠিন দিনে বাংলাকে আধুনিক ই-বই দেখিয়েছিল কারা।

পুরনো বা প্রকাশিত বই থেকে ই-বই নয়, নতুন আঙ্গিকের ই-বই। এবং এগুলি বাজারে চালু পিডিএফ ফাইল নয়; পুরোদস্তুর ই-বই।

শুধু মনে রাখবেন, তাহলেই হবে।