Saturday, November 15, 2025

রেশন নিয়ে ‘বেয়াদপি’ বরদাস্ত করা হবে না, প্রচারে নামুন, জেলার নেতাদের নির্দেশ তৃণমূল সুপ্রিমোর

Date:

Share post:

লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব মেনেই বিরোধীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামতে জেলা সভাপতিদের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার করোনা আবহে এই প্রথমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের জেলাস্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন দলনেত্রী৷

দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন :

◾রেশন নিয়ে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে ‘ভুল’ বোঝাচ্ছে৷ ঠিক বোঝানোর জন্য এখনই দলীয় নেতাদের সক্রিয় হতে হবে৷

◾রেশন নিয়ে ‘বেয়াদপি’ যে বরদাস্ত করা হবে না৷

◾প্রচার করতে হবে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যে বেশ কিছু রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন৷

◾দলের কারও বিরুদ্ধে যদি এ ধরনের অভিযোগ ওঠে, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

◾নিজেদের কাজ করে যেতে হবে। বিজেপি যা রটাচ্ছে, তা যে মিথ্যা, সে কথা মানুষকে আরও ভাল ভাবে বোঝানোর কাজ এখন থেকেই শুরু করতে হবে৷

◾মানুষকে বোঝাতে হবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারই সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে দেয়৷ এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সেই কাজ সরকার চালিয়ে যাচ্ছে৷

◾বিজেপি অপপ্রচার চালিয়ে রাজ্য সরকারের সেই সাফল্যকেই ভুলিয়ে দিতে চাইছে৷ এর প্রতিবাদ করতে হবে জোরদারভাবে৷

◾করোনা-সংকটকালে বিজেপি নেতারা রাজ্যের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি এবং তাঁরা জনসাধারণের থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছেন৷

◾ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই বিজেপি এখন রেশন নিয়ে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালিয়ে সরকারকে হেয় করতে চাইছে, সে চেষ্টা সফল হতে দিলে চলবে না৷

◾জোরদার প্রচারে নেমে বলতে হবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারই সবচেয়ে ভাল মানের চাল দিচ্ছে৷ রাজ্য সরকারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে রেশন দিচ্ছে এবং কেন্দ্র কিছুই দেয়নি৷

◾লকডাউনের জেরে যাঁরা সঙ্কটে, তাঁদের পাশে আরও বেশি করে দাঁড়াতে হবে৷

◾সরকারি রেশনে মাতব্বরি নয়, প্রয়োজনে দলের নেতারা নিজের পয়সায় ত্রাণ দিন৷

◾মনরেগা প্রকল্পে যাতে কাজ দেওয়া যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের, সে কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই দলের জেলা নেতৃত্বকে সক্রিয় হতে হবে৷

◾প্রচার করতে হবে, রাজ্যের যে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে রয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর জন্য রাজ্য সরকার সব রকম ব্যবস্থা করবে ৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনে প্রথমে কোয়রান্টিনে রাখা হবে এবং তার পরে তাঁদের কাজের ব্যবস্থা করা হবে৷

◾সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার সময় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-এর কথা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাথায় রাখতে হবে৷

◾লকডাউন না ভেঙেই কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে জেলা সভাপতিদের৷

◾সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ব্লক স্তরের বা তার চেয়েও নীচের স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে৷

তৃণমূলনেত্রী এদিনই জানিয়েছেন, আগামী
১০ মে ফের তিনি ভিডিও কনফারেন্স করবেন দলের বিধায়কদের সঙ্গে।

spot_img

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...