করোনার ওষুধ বানানোর জন্য পরীক্ষা করতে গিয়ে ভয়াবহ পরিণতি

করোনা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। এই অবস্থায় প্রতিষেধক হিসাবে একাধিক ওষুধ গ্রহণ করছিলেন এক ওষুধের দোকানের মালিক। শুধু নিজের ওপরই নয়, এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন কর্মচারীদের ওপর। তাতেই হল বিপত্তি। পেট্রোলিয়াম পরীক্ষা করার রাসায়নিক হিসাবে ব্যবহৃত এক বিশেষ দ্রব্য গ্রহণ করেন দুজনে। বৃহস্পতিবারই একজনের মৃত্যু হয়।

ঘটনা চেন্নাইয়ের সুজাতা বায়োটেকের। দোকানের কর্মচারী ৪৭ বছরের কে শিভানেশনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সুজাতা বায়োটেকের প্রোডাক্ট ম্যানেজার ছিলেন। পুলিশ আধিকারিক জানান, “ওই ওষুধের দোকানের মালিক রাজ কুমার এবং শিভানেশনের সঙ্গে দেখা করেন। করোনা প্রতিষেধক হিসাবে নাইট্রিক অক্সাইড এবং সোডিয়াম নাইট্রেটের সংমিশ্রনে বিশেষ ওষুধ তৈরি করেছিলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা সফল হলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। এই ভেবে তাঁরা রাসায়নিক গ্রহণ করেন।”

রাসায়নিক গ্রহণ করার পর শারীরিক সমস্যা শুরু হয় দুজনের। তড়িঘড়ি করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুজনকে। রাত ৮টা নাগাদ শিভানেশন মারা যান। মালিকের অবস্থা বর্তমানে অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।