Sunday, August 24, 2025

মাদার্স ডে: মেয়ের মৃত্যুর বিচার পেতে সাত বছরের লড়াই

Date:

Share post:

মাদার্স ডে আজ। ঘড়ির কাঁটা বারোটা পেরোতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়েদের নিয়ে অনেক ছবি। অনেক লেখা। সারা জীবন তাঁরা সন্তানদের স্নেহ ভালবাসায় বড় করে তোলেন। প্রবল কষ্টের আঁচ সন্তানের গায়ে পড়তে দেননা। আজ তাঁদের দিন। তবে সত্যিই কি মায়ের জন্য নির্দিষ্ট একটা দিন যথেষ্ট! এই নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। এমনই এক মায়ের কাহিনী দেখেছে ভারতবাসী তথা সারা বিশ্ব। সেই মা সন্তানের ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করে গেছেন দীর্ঘ ৭ বছর ৩ মাস।

তিনি নির্ভয়ার মা, আশা দেবী। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির এক চলন্ত বাসে তাঁর মেয়ে গণধর্ষিতা হন। সেই শুরু তাঁর লড়াই। সাধারন ছাপোষা জীবনে তৈরি হলো অনেক জটিলতা। আইনকানুনের লড়াই শেষে জিতলেন সেই মা। তাঁর জেদের কাছে হার মেনেছে যাবতীয় অযৌক্তিক কথা।

২২ ডিসেম্বর দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে নির্ভয়ার বয়ান রেকর্ড করে দিল্লি পুলিশ। ২৭ ডিসেম্বর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুদিন পর মৃত্যু হয় নির্ভয়ার। সেই লড়াই শুরু আশা দেবীর। কখনও বলেছেন “আমি আর পারছি না।” ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন। “সরকারকে ফাঁসি দিতেই হবে। না হলে আমার মেয়ে কখনও শান্তি পাবে না।”

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ফাঁসি ঘোষণা হয় নির্ভয়ার ধর্ষকদের। কিন্তু অক্ষয় কুমার, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মারা নানা রকম আইনি ফন্দির জেরে একাধিকবার পিছিয়ে যায় ফাঁসি। যার নেপথ্যে ছিলেন ধর্ষকদের আইনজীবী এপি সিং। চোখ রাঙিয়ে নির্ভয়ার মাকে তিনি বলেছিলেন, “এই মামলা কখনও শেষই হবে না।” তবে তাতে ভয় পাননি তিনি। আইনের হাত ধরেই শেষ দেখেছেন। ২০ মার্চ নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি হয়। বহু প্রতীক্ষিত সেই মুহূর্ত দেখে নির্ভয়ার মা বলেছিলেন, ” ওঁর ছবি জড়িয়ে ধরে কেঁদেছি আর বলেছি মেয়ে আজ তুই ন্যায়বিচার পেলি।”

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...