জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই রোগীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাখা হয় করোনা ওয়ার্ডে। কিন্তু ৩৪ বয়সী ওই রোগীকে নিয়ে জেরবার চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

কখনও হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ের ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কখনও আবার পাশের বাড়ির রোগীর কম্বল গায়ে দিয়ে লুকিয়ে পড়ছেন। হাসপাতালে আলমারির ফাঁকে, সিঁড়ির নিচে লুকিয়ে থাকছেন কখনও। রবিবার দেখা যায় বিল্ডিং এর ন’তলার ছাদের পাঁচিলে বসে পা দোলাচ্ছেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই রোগী মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। কারোর কোনও কথাই শোনেন না। তাঁকে নিয়ে নাজেহাল অবস্থা স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চিকিৎসকদের। রবিবারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাসপাতালের অন্দরে। কোনও রকমে বুঝিয়ে তাঁকে পাঁচিল থেকে নামানো হয়।

হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, “করোনা সংক্রমণ হাওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। চিকিৎসার জন্য সুপার স্পেশালিটি ব্লকের করোনা ওয়ার্ডে তাঁকে রাখা হয়েছে। মানসিক সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যেই এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছেন। চিকিৎসা করে দ্রুত সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি আমরা।”
