কমিউনিস্ট শাসনাধীন ও একনায়কতন্ত্রের পূজারি চিন সারা বিশ্বেই একতরফা অর্থনৈতিক আগ্রাসন ও বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবের জন্য পরিচিত। নিজেরা একদিকে হংকংয়ে চরম মানবতাবিরোধী পথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের উপর নির্যাতন চালায় আবার পাকিস্তানের মত জঙ্গি রাষ্ট্রকে ভারতবিরোধী উসকানিতে মদত দেয়। মারণ করোনাভাইরাসের বিপদ সম্পর্কে শুরু থেকেই বিশ্বকে বিভ্রান্ত করেছে চিন। উহানের যে চিকিৎসক করোনার বিপদ প্রকাশ্যে আনেন তাকেও জেলে পুরেছিল চিনের কমিউনিস্ট শাসকরা। উহানের যে করোনাভাইরাস আজ গোটা দুনিয়ায় মহামারির মৃত্যুমিছিল শুরু করেছে সেই ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়েও বিভ্রান্তিকর ও সন্দেহজনক কথাবার্তা বলে চলেছেন চিনের শাসকরা। উহানে করোনার মৃত্যুসংখ্যা নিয়েও জোচ্চুরি করেছে শি জিনপিং প্রশাসন। পরে চাপের মুখে ভুল স্বীকারের পর দেখা যায় প্রায় দেড় হাজার সংখ্যা বেড়েছে। যদিও সেটাও প্রকৃত তথ্য নয় বলেই অনেকের মত। আর সর্বশেষ, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকা জবরদখলের চেষ্টায় উল্টে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের উপর হামলা চালিয়েছে চিনের সেনারা। অথচ ভারতের পাল্টা প্রত্যাঘাতের পর নিজেদের হতাহতের সংখ্যা গোপন করতে কাপুরুষের মত মুখে কুলুপ এঁটেছে চিন। যদিও জানা যাচ্ছে, ভারতের চেয়েও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের। আসলে এক্ষেত্রে ঠিক পাকিস্তানের কায়দাতেই বেআইনি কাজ করার পর তথ্যগোপন, অস্বীকার ও দ্বিচারিতা জিনপিং প্রশাসনের। চিনের এই আগ্রাসন আর ভারতের জমি দখলের স্পর্ধাকে মুখের উপর জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। ভারতের অখণ্ডতা রক্ষায় চিনের মত বিশ্বাসযোগ্যতাহীন প্রতিবেশীর শুধু মুখের কথায় ভরসা করলে বারবার ঠকতে হবে।
