সীমান্তে পুরোদস্তুর যুদ্ধের আবহ৷

“প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের দিকে নির্মাণ বন্ধ করতেই হবে চিনকে৷ না হলে মিলিটারি স্ট্যান্ডঅফ চলবেই৷” চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি শুক্রবার ঠিক এই ভাষায় বেজিং-কে সতর্ক করার পরই কার্যত সমরসজ্জায় নেমেছে ভারতীয় ফৌজ৷

সূত্রের খবর, উত্তর ভারতের সব সেনা ঘাঁটি ও বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সেনা, কামান, এয়ার সার্ভেইল্যান্স র্যাডার, যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার, সব নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লাদাখে৷ চণ্ডীগড় এয়ারবেস থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার C-17 গ্লোবমাস্টার ‘মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ’ কার্গো নিয়ে যাচ্ছে লাদাখে৷ খরচ হচ্ছে ট্রিপ-প্রতি ১০ লক্ষ টাকা৷
একইসঙ্গে, লাদাখে ৪৫ হাজার সেনা পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু করেছে বায়ুসেনা৷ এক কথায়, ঘর গোছানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতের তরফে৷ গোটা পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে যুদ্ধকালীন ৷

জানা গিয়েছে, ডিবিও, ফুকচে ও নিয়োমা, এই তিন অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডই অ্যাক্টিভেট করা হয়েছে৷ সব বিমানঘাঁটির অভিমুখই এখন চিনের দিকে৷ নৌসেনার মাল্টিটাস্কার P-8I আকাশে টহল দেওয়া শুরু করেছে৷ নজর রাখছে চিন সেনার গতিবিধি৷ একইসঙ্গে
লাদাখে চিনের সঙ্গে থাকা ১, ৫৯৭ কিমি সীমান্তের ৬৫টি পয়েন্টে সেনা টহল আরও বাড়ানো হয়েছে৷
গালওয়ান ভ্যালি, দেপসাং, প্যাংগং ও উত্তর সিকিমে নাকু লা-র প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধ পরিস্থিতির উপযোগ মতো নির্মাণকাজও চলছে৷

গত প্রায় ২ মাস ধরে ভারত-চিন সীমান্তে মুখোমুখি দু’পক্ষ৷
পরের পর আলোচনা চললেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি ৷ বরং উত্তেজনা আরও বাড়ছে৷

ওদিকে, স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে, চিন সেনাও ট্যাঙ্ক, মিসাইল ইউনিট, যুদ্ধ বিমান জড়ো করছে সীমান্তে৷ দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ভারতের দিকের অংশে পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন৷ প্যাংগঙে ফিঙ্গার ফোরের কাছে একটি হেলিপ্যাডও তৈরি হয়েছে৷
