মহামারি আবহে ব্যাহত হয়েছে শিক্ষাঙ্গনের পঠন-পাঠন। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা। কীভাবে শেষ হবে গোটা সিলেবাস তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়েছে সিলেবাস কমিটি।

গত চার মাস ধরে ভাইরাসের সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল। এই অবস্থায় মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ অন্যান্য ক্লাসের সিলেবাস কীভাবে এবং কতটা কমানো সম্ভব তা নিয়ে শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চেয়েছে সিলেবাস কমিটি। এই বিষয়ে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার জানিয়েছেন, “শতাংশের হিসেবে সিলেবাস কমানো যায় না। সিলেবাস কমানোর আগে দেখতে হবে পড়ুয়ারা যেন পরবর্তী ক্লাস বা পরবর্তী পর্যায়ে গিয়ে হোঁচট না খায়। কোনও একটা বা দুটো চ্যাপ্টার বাদ দিয়ে সিলেবাস কমানো হবে না। এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে সমস্যায় না পড়ে তা দেখতে হবে।” তাঁর কথায়, ধরে নেওয়া যাক একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণীতে পদার্থবিদ্যার কোনও একটি বিষয় বাদ দেওয়া হলো। সিলেবাসে নেই তাই ছাত্রছাত্রীরা পড়ল না। সংশ্লিষ্ট বিষয় থেকে জয়েন্ট বা সর্বভারতীয় কোনও পরীক্ষায় প্রশ্ন এলে তখন তারা কী করবে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে সিলেবাস কমানোর কথা ভাবতে হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, সিলেবাসের ভার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিএসই এবং সিআইএসসিই। সিবিএসই ৩০ শতাংশ সিলেবাস কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিলেবাস কমানোর নামে দেশভাগ, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, নাগরিকত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। যার জেরে পঠন-পাঠনের রাজনৈতিক প্রভাব ফেলার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তবে সিলেবাস কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে কখনও আপস করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অভীক মজুমদার। জানা গিয়েছে, সিলেবাস কতটা কমবে বা কীভাবে সাজানো হবে সেই চিত্র স্পষ্ট হবে আগস্ট মাসের মধ্যেই।
