দলবদল? তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি? হাস্যাস্পদ। গল্পের গরু গাছে তোলা হয়েছে। গল্পের নিদারুণ অত্যাচারে গরু এবার কিন্তু হাম্বা হাম্বা ডাক ছাড়বে! প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দুর্গাপুরের বর্তমান সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া দিল্লি থেকে জবাব দিলেন চাঁচাছোলা ভাষায়।

সম্প্রতি হঠাৎই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে বিজেপির এই বর্ষীয়ান সাংসদের দলবদলের জল্পনার খবর। তারপরেই গুঞ্জন। ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-এর সঙ্গে একান্তে তিনি বললেন, ‘আসলে তৃণমূল তাদের ঘরোয়া ঝগড়া আমার ঘাড়ের উপর দিয়ে চালাতে চাইছে। আসানসোল তৃণমূল কংগ্রেসে জিতেন্দ্র তেওয়ারির সঙ্গে মন্ত্রী মলয় ঘটকের দীর্ঘদিনের লড়াই। জিতেন্দ্র জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পর সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে পারছে না। তাই প্রকাশ্য সভায় বলেছিল, সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। প্রয়োজনে সকলের সঙ্গে আলোচনায় বসব। দরকারে সাংসদ আহলুওয়ালিয়ার সঙ্গেও বসতে রাজি। আর তারপরেই সুকৌশলে আমার দলবদলের খবর রটায় তৃণমূল।’ ভালো গল্প লিখছে ওরা। শুধু বলতে চাই, কোভিড পরিস্থিতি সামলাক রাজ্য, পুলিশ প্রশাসন সামলাক।লোকের ঘরে উঁকি মারা বন্ধ করুক। অন্য দলের দরজায় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে অপেক্ষা করা বন্ধ হোক। এতে দলের দৈন্যতাই প্রকাশিত হয়। এই কথাট যে কবে বুঝবে তৃণমূল নেতারা কে জানে!


তবে আহলুওয়ালিয়ার মতো নেতার দলবদলের জল্পনায় রাজনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল। নিজের মুখেই সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও জল্পনা কি থামবে?
