শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অবর্তমানে তিনিই ব্যাটিং করছিলেন ঘরের মাঠে। কাজ করছিলেন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। সোমবার হঠাৎ তাঁকে দলের সেই দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি দেওয়ার খবর ভেসে এলো। শোভনপত্নী রত্না বলছেন, তাঁর কাছে কোনও খবর নেই। যদিও দলীয় সূত্র বলছে, রত্নাকে সরানো হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, যদি এই ঘটনা যথার্থ হয়ে থাকে তাহলে প্রশ্ন, রত্নাকে পদ থেকে কেন সরানো হলো? জনান্তিকে বহু দিন থেকে চাউর, শোভন-বৈশাখী ফিরছেন পুরনো দলে। কারণ বিজেপিতে রাজনীতি করা যাবে না, এটা তাঁরা বুঝছেন। কিন্তু শোভনের তরফে একটাই শর্ত ছিল, রত্নাকে সরতে হবে। এ নিয়ে দলেই দ্বিধা ছিল। অভিযোগ, এই সময়ে ওয়ার্ডের কাজ দেখতে গিয়ে রত্না দলকে ডিঙিয়ে বহু কাজ করছিলেন। কেউ কেউ বলছিলেন, রত্না কেন বুঝছেন না, তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। হঠাৎ জননেত্রী হওয়া সম্ভব নয়, মানুষ নেবেনও না। যদিও রত্না বলছেন, এসবের কোনও জবাব হয় না। আমি যা করেছি দল জানে। রত্নাকে সরানোর রাস্তা তৈরি হচ্ছিল, এলাকায় কিছু শোভন লবির কর্মীরা বিরক্ত হচ্ছিলেন। শোভনের সঙ্গে আলোচনার গতিপ্রকৃতি এগোতেই সম্ভবত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারিভাবে এ নিয়ে কোনও কথা বলেনি।
