সুশান্ত রহস্য মৃত্যু তদন্তে নয়া অডিও টেপ প্রকাশ্যে। বলা যায় এই টেপ রিয়ার আসল চরিত্র সামনে এনে দিয়েছে। আর এই অডিও টেপ প্রমাণ করছে, সুশান্তের টাকা-পয়সা ভবিষ্যত নিয়ে রিয়া শুধু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাই নয়, কোথায় টাকা রাখবে, কীভাবে স্টাফ কমাতে হবে, সেসব কথা বলছে। আর এই টেপ যে সিবিআই-ইডির কাছে হাতে গরম প্রমাণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অডিও টেপটি এই বছরের জানুয়ারি মাসে রেকর্ড করা। সেই সময় ‘দিল বেচারা’র স্ক্রিনিং নিয়ে কথা হচ্ছে। সুশান্তর হাতে গোটা দুয়েক ছবি রয়েছে। তার মধ্যে একটির সাইনিং অ্যামাউন্টও হাতে এসেছে। এবং সুশান্ত অসুস্থ বলে মনে করা হচ্ছে।

কী বলছেন সুশান্ত?
সুশান্ত বলছেন, ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁরা বলছেন এইভাবে সিনেমায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। আমিও বলছি এভাবে বাইপোলার মানসিকতা নিয়ে আমার পক্ষে শুটিং করা সম্ভব নয়। হাতে কাজ না থাকলে আমাকে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে। আমার ইচ্ছা ছোট শহরে চলে যাব। খরচ কম। এমনভাবে টাকাগুলো রাখতে হবে যাতে সুদের অর্থে দিন চলে যায়। এই সময় শ্রুতি মোদি ও স্যামুয়েল মিরান্ডা ছিলেন। স্যামুয়েল বলেন, হ্যাঁ খরচ কমাতে হবে। টাকা ট্রাস্ট করে রাখলে সুদ বেশি পাওয়া যাবে।

এই আলোচনায় রিয়া চক্রবর্তীও ছিলেন। তিনি কী বললেন?
রিয়া বলছেন, হ্যাঁ ঠিক কথা, খরচ কমাতে হবে। দরকারে আমরা কিছু স্টাফ ছাঁটাই করব। বাড়িটা হ্যান্ড ওভার করলে খরচ কমবে, একইসঙ্গে কিছু টাকাও পাব। সুশান্ত টাকা-পয়সার ব্যাপারে কিচ্ছু বোঝে না। আমি, স্যামুয়েল বা শ্রুতি না থাকলে যে কেউ ওর পিন নম্বর দিয়ে টাকা তুলে নেবে। তবে আপাতত এক-দুমাস এইরকম চলুক, আমরা সব দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।
এই ক্লিপ প্রমাণ করছে রিয়াই কার্যত ঠিক করতেন, সুশান্তের আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিন্তু কী।কারণে রিয়া ৮জুন তাকে ছেড়ে গেল এবং সুশান্তের নম্বর ব্লক করে দিল? সিবিআই সূত্রে খবর, আসলে ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে নতুন করে ফিক্সড করার সময়।সুশান্ত নিজের নামেই টাকা রেখেছিলেন। কোথাও রিয়ার নাম আনেননি। রিয়া বুঝতে পারেন, তিনি সুশান্তের প্রায়োরিটির তালিকায় নেই এ নিয়ে ঝগড়া হয়। কিন্তু সুশান্তকে সিদ্ধান্ত থেকে সরানো যায়নি। তাতেই কী শেষ পরিণতি সুশান্তর? পা ভাঙা, ঘাড়ে সূচের অসংখ্য দাগ তবে কী প্রতিশোধের দাগ। শেষ কথা বলবে তদন্তকারী তিন সংস্থা সিবিআই, ইডি ও এনসিএ।
