করোনা প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। প্রভাব পড়েছে হাতিদের ওপর। জয়পুরের ‘হাতি গাঁও’ তে গত ছ’মাসে মৃত্যু হয়েছে চারটি হাতির। প্রাণী চিকিত্সকরা বলছেন, হাতিগুলো পেটের সমস্যায় ভুগছিল। অসু্স্থ হয়ে পড়েছিল। এর একটা কারণ, অবশ্যই হাঁটাচলা কম হয়।

জয়পুরে রয়েছে অমের ফোর্ট। কেল্লায় উঠতে পর্যটকরা হাতি ভাড়া নেন। তাতে যেমন হাতি মালিকদের আয় হয়, হাতির খাবারের পয়সা আসে, ঠিক তেমনই পর্যটক নিয়ে হাঁটাচলায় তাদের ব্যায়ামও হয়। সেই ব্যায়াম বন্ধ হওয়ার প্রভাব দেখা দিচ্ছে একাধিক হাতির মধ্যে। খাবারে অনীহা, পাকস্থলির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

আরও পড়ুন : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ করতে ১২০০ কিলোমিটার পাড়ি স্বামীর

গত বৃহস্পতিবার মারা যায় হাঁতিগাঁও-এর একটি হাতি। তার নাম রানি। স্ত্রী হাতিটির মৃত্যুতে শোকের ছায়া গ্রামে। প্রাণী চিকিত্সক নীরজ শুক্লা জানিয়েছেন, হাতিটি শেষের কয়েকটা দিন খাচ্ছিল না কিছু। পেটে ব্যাথা ছিল। তার পাও ফুলে ছিল।তিনি জানান, সমস্ত চেষ্টার পরেও রানিকে বাঁচানো যায়নি। প্রথমদিকে চিকিত্সায় সাড়া দিলেও বৃহস্পতিবার আর উঠল না ও। তাঁর মতে ওঠা হাঁটা কমে যাওয়ায় শরীর সচল থাকছে না। যার জেরে হাতিদের হজমের সমস্যা বাড়ছে।

হাতিগাঁও-এর হাতিরাই রাজস্থানে আসা পর্যটকদের ঘোরায়। তখন তাদের দম ফেলার ফুরসত্ থাকে না। করোনা আবহে জয়পুর পর্যটক শূন্য।তারই প্রভাব পড়ছে হাতিগাঁওতে। গত ছ’মাসে চারটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। যার জেরে উদ্বিগ্ন বন দফতর।

আরও পড়ুন : বিজ্ঞাপনে প্রথমবার রাজ-শুভশ্রী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অন্তরঙ্গ মুহূর্ত

হাতিগাঁও বিকাশ সমিতির সভাপতি বালু খান জানান, তিন-চার বছরে একটি হাতির মৃত্যু তাঁরা দেখতে অভ্যস্থ। কিন্তু ছ’মাসে চারটি হাতির মৃত্যু খুব দুঃখজনক। চিন্তার। আগে একটা হাতি অমের ফোর্টে দিনে দু থেকে তিন বার যেত। ব্যায়াম হত। লকডাউন শুরু হতেই পর্যটক আসা বন্ধ। ওরা দাঁড়িয়ে বসে থেকে মোটা হয়ে যাচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

রাজস্থানের জয়পুরে ঐতিহাসিক অমের ফোর্টের কাছেই হাতিগাঁও।১০০টা হাতি আছে সেখানে। হাতির পিঠে কেল্লায় ওঠা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ।পর্যটক আসা বন্ধ হওয়ায়, রুজিরুটিতেও টান পড়ছে। ফলে হাতিদের খাওয়াতে গিয়ে নাভিঃশ্বাস উঠছে মালিকদের।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হাতিদের খাবারের জন্য বন দফতর প্রতিদিন ৬০০ টাকা করে বরাদ্দ করেছিল। সে টাকাও এখন কমেছে।ফলে হাতিদের নিয়ে বিপাকে হাতিগাঁও।
