জটিলতা কাটিয়ে সূচনা হলো ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে নদীপথে বাণিজ্য

জটিলতা কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় নদীপথে পণ্য পরিবহন চালু হলো। গোমতী বাংলাদেশের দাউদকান্দি ও ত্রিপুরার সোনামুড়ার মধ্যে এই নৌপথ চালু হয়েছে। ভবিষ্যতে এই জলপথের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি অনেক সহজ হবে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর বন্দরে পণ্য পরিবহনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরা বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে ৬৩০ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয় বাংলাদেশ থেকে। ত্রিপুরা থেকে প্রতিবছর ২ হাজার কোটি টাকার পণ্য রফতানি করা হয়। সে রাজ্যে এতদিন পর্যন্ত আমদানি, রফতানি হতো রেল এবং সড়কপথে। দাউদকান্দি-সোনামুড়া জলপথ চালু হওয়ায় পণ্য আমদানির খরচ প্রায় ২৫ শতাংশ কমবে বলে ধারণা মুখ্যমন্ত্রীর।

আগস্টের শেষ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানিয়েছিলেন, জেটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। ওই যে এটি তৈরি হয়েছে গোমতী নদীর উপরে। বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার সংযোগকারী ওই নটি। এই প্রথম গোমতী নদীর উপরে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরার বাণিজ্য শুরু হলো। এর আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাম সরকার নদীপথে বাণিজ্যের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে একাধিকবার পিছিয়ে যায়। সম্প্রতি কলকাতার মাধ্যমে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগরতলা হয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, চলতি বছর মে মাসে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও বাংলাদেশের নৌ সচিব মহ. মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সোনামুড়া-দাউদকান্দি নৌপথ চালু হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। জুলাই মাসে ভারত-বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ প্রকল্পের জন্য গোমতী নদীর উপর উদ্বোধন করা হয় এক ভাসমান জেটির। ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লার দাউদকান্দি পর্যন্ত ৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই জলপথ।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজার ছাড়ালো

Previous articleঅন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ করতে ১২০০ কিলোমিটার পাড়ি স্বামীর
Next articleপর্যটক নিয়ে সাফারি বন্ধ লকডাউনে, বদহজমে মরছে হাতি