পাশ করা পড়ুয়াদের কলেজে আসন দিতে বদ্ধপরিকর সরকার: শিক্ষামন্ত্রী

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কেউ পেয়েছেন ৯৬ শতাংশ নম্বর। কারোর ঝুলিতে আবার নম্বর রয়েছে ৯৩ শতাংশ। কিন্তু এত নম্বর পেয়েও কলেজে ভর্তি হতে পারছেন না। গত কয়েক দিনে বহু ছাত্র-ছাত্রী এই ধরনের অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানালেন, যেসব ছাত্রছাত্রীরা পাশ করেছেন তাঁদের কলেজে আসন দিতে বদ্ধপরিকর সরকার। একইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল।

বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, আইসিএসই, আইএসসি এবং সিবিএসই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে এদিন তিনি বলেন, “কিছু কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ভিড় করছেন। নতুন ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫০টি কলেজ তৈরি হয়েছে। ২ লক্ষ অতিরিক্ত ঘর দেওয়া হয়েছে। আসনের জন্য কেউ ভর্তি হতে পারছেন না মোটেই তা নয়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রী খুব ভালো নম্বর পেয়েছেন। সবাই প্রেসিডেন্সি, সেন্ট জেভিয়ার্স, আশুতোষ, বেথুন কলেজে ভর্তি হতে চান।” তাঁর কথায়, “পছন্দসই কলেজগুলিতে নম্বরের ভিত্তিতে যেখানে দাঁড়াচ্ছে, তাতে অনেকেই প্রতিযোগিতায় থাকতে পারছেন না। যারা পাশ করেছেন তাঁদের প্রত্যেককেই যাতে আসন দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে বদ্ধপরিকর সরকার।”

এদিকে কেন্দ্র সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, শর্তসাপেক্ষে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে যেতে পারবে। স্কুল খোলা প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, স্বাভাবিক অবস্থা হলে তবেই স্কুল খুলবে। আপাতত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল। তাঁর কথায়, “সংক্রমণ বাড়ছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তুলনায় অনেক বড়। সেখানে স্কুল খোলার কথা মাথায় আসছে না।” তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে কীভাবে লেখাপড়া পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়টা সরকারের নজরে আছে।

কোনও কলেজে আসন ফুরিয়ে গেলে অন্য কলেজে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, লেখাপড়ার মানের পাশাপাশি এখন ঝোঁক হচ্ছে কানেক্টিভিটি কোথায় বেশি সেইখানে আমরা যাব। আসনসংখ্যা অপ্রতুল নয়, সবাই যদি ভর্তি হতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।” শিক্ষামন্ত্রীর মতে, নিজেদের পছন্দসই কলেজে পড়তে গিয়ে ন্যূনতম থেকে পিছিয়ে পড়ছে কেউ কেউ। তাতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-অতিমারি পরিস্থিতিতে প্রথম উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী