মহামারির কোপ পড়েছে পর্যটন শিল্পে। ঘরবন্দি পর্যটন প্রেমীরা। গত ছ’মাস ধরে বন্ধ ছিল মৌসুনি পিকনিক স্পট। সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার থেকে ফের চালু হলো মৌসুনির ওই পর্যটন কেন্দ্র।

চিনাই, মুড়িগঙ্গা, বটতলা নদী ও সমুদ্র সংযোগ এলাকা ঘিরে রয়েছে মৌসুনি দ্বীপ। বছর ছয়েক আগে এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। পর্যটকদের থাকার জন্য আছে প্রায় ৪০টি মাটির ঘরের আদলে খড়ের ছাউনির কটেজ। ঝাউয়ের জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে এই কটেজগুলি। কটেজের মধ্যে থেকেই দেখা যায় সমুদ্রের ঢেউ। একেবারে নিরিবিলি পরিবেশ। যদিও প্রথম দিকে খুব একটা জনপ্রিয় ছিল না এই পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে আজ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে মৌসুনি দ্বীপ। ইদানিংকালে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে সেখানে।

প্রথমে মহামারির প্রকোপ, পরে আমফানের দাপট। এই দুইয়ের জেরে সংকটের মুখ দেখে ছিল মৌসুনি দ্বীপ। কিন্তু এভাবে আর কতদিন কাটবে? তাই সব রকম সুরক্ষার মেনে চালু করা হলো এই পর্যটন কেন্দ্র। মৌসুনি ক্যাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদ্যুৎ বেরা বলেন, “মহামারির জন্য সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে কটেজ খোলা হচ্ছে। যারা এখানে কাজ করেন তাঁরা এতদিন আর্থিক সঙ্কটে কাটিয়েছেন। পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ায় ফের তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারবেন।”

স্থানীয়দের কথায়, এই দ্বীপের বাসিন্দাদের একমাত্র কাজ চাষাবাদ। পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হওয়ায় অনেকেই তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এই পর্যটনকেন্দ্র যাতায়াতের জন্য টোটো পরিষেবা চালু হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত সেই পরিষেবা বন্ধ ছিল। পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকলে তাঁদেরও আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই সরকারি নির্দেশিকা সহ সবরকম নিয়ম মেনে খোলা হল পর্যটন কেন্দ্র। প্রদ্যুৎ বলেন, ” নামখানার ১০ মাইল মোড়ে নেমে পৌঁছে যাওয়া যায় পাতকিবুনিয়া ঘাটে। সেখান থেকে বেরোতে হয় চিনাই নদী। নদী পেরোনোর পর টোটোতে বসার আগে থার্মাল চেকিং করা হবে। তারপরই মিলবে কটেজে ঢোকার অনুমতি। নিয়ম মেনে স্যানিটাইজ করা হবে কটেজগুলি।”

আরও পড়ুন-এবছরই ছিল অনেকের শেষ সুযোগ, JEE-NEET নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফের আবেদন
