কেন আল-কায়দার টার্গেট মুর্শিদাবাদ? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেপথ্যেই লুকিয়ে রহস্য!

মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও জলঙ্গি থেকে ধৃত ৬ আল-কায়দা জঙ্গিকে রাতভর জেরা করেছেন NIA গোয়েন্দারা। আজ, রবিবার কলকাতায় দফায় দফায় জেরা চলছে বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। কখনও একক ভাবে আবার কখনও রোটেশন মুখোমুখি বসিয়ে জঙ্গিদের জেরা চলছে। প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করে তা মিলিয়ে দেখছেন NIA গোয়েন্দারা। কারও মধ্যে কোনও অসঙ্গতি পেলে, ফের শুরু হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। গোয়েন্দারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিকড়ে পৌঁছতে চাইছেন। জেরায় ইতিমধ্যেই বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে। দুঁদে গোয়েন্দাদের জেরার মুখে ভেঙে পড়ছে জঙ্গিরা। জট খুলছে ধাঁধার। সরাসরি এ রাজ্যের ভূমিপুত্রদের নিয়োগ করে আল-কায়দা কীভাবে বাংলায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক বিস্তার করছিল? একের পর এক তথ্য সামনে আসছে, আর সেই ধাঁধার উত্তর মিলছে! যা শুনে কপালে ভাঁজ পড়ছে NIA দুঁদে গোয়েন্দাদের। ধৃত জঙ্গিদের লাগাতার জেরায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এবার উঠে এলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম।

সূত্রের খবর, ধৃত আল-কায়দা জঙ্গি আল মামুন কামালকে কড়া জেরা করে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে তার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। জেরায় আল মামুন কামাল স্বীকার করেছে, সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার পিছনে মূল কারণই ছিল স্থানীয় যুবক ও কিশোরদের শিক্ষার আড়ালে আল-কায়দা নিয়োগ করা। পাশাপশি জঙ্গি সংগঠনের জন্য ফান্ডিং অর্থাৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সামনে রেখে অর্থ সংগ্রহ। সেই পরিকল্পনামাফিকই চলছিল কাজ। শুধু এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, নেটওর্য়াক বাড়াতে একইরকমভাবে আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্য ছিল তার বা তাদের।

তদন্তে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক বিস্তার করতে মুর্শিদাবাদকেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ ছিল আল-কায়দার। তার কারণ এই জেলায় নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত মানুষের বাস। আল-কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর লক্ষ্যই ছিল যেসমস্ত এলাকা গরিব, সেই এলাকাগুলোকে টার্গেট করা। কারণ সহজেই এই গরিব মানুষজনকে বুঝিয়ে তাদের মগজধোলাই করত তারা। আর তাতে খুব সহজেই তাদের মধ্যে জেহাদি মনোভাব তৈরির কাজ খুব সহজেই করা সম্ভব ছিল। আর সেখানে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সামনে রেখে কাজ করা যায়, তাহলে বিষয়টি আরও সহজ হয়। সন্দেহ আরও কম হয়!

আরও পড়ুন- করোনা পজিটিভ কলকাতা গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা