বিচিত্র সব কারণ খুঁজে বার করে ট্রেনের ভাড়া বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র ৷

করোনার দাপটে বিধ্বস্ত দেশবাসী৷ লকডাউনের জেরে মানুষের হাতে পয়সা নেই৷ হাজারো কলকারখানায় উৎপাদন থেমে যাওয়ায় কর্মহীন হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ৷

আর তারই মাঝে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর ছক কষছে কেন্দ্র৷ রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে যে সব স্টেশন এবং যে সমস্ত স্টেশনে উন্নয়নের কাজ হয়েছে, সেখানে ট্রেনের ভাড়া বাড়তে পারে। এই ধরনের স্টেশন ব্যবহার করছেন যেসব যাত্রী, তাঁদের পকেট কাটতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ টিকিটের দাম থেকে আসা বাড়তি অর্থ থেকেই বাকি স্টেশনগুলির উন্নয়নের খরচ তোলা হতে পারে বলে সূত্রের দাবি।

জানা গিয়েছে, ট্রেনের ভাড়া সম্ভবত ১০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এসি ফার্স্টক্লাস প্যাসেঞ্জারদের জন্য এই ভাড়া বাড়তে পারে। রেলসূত্রের খবর, যে সমস্ত স্টেশন ঝাঁ চকচকে হয়েছে ও যেখানে ভিড় প্রচুর পরিমাণে হয়, সেখানেই এমন ভাড়া বৃদ্ধি হতে পারে। দেশের এমন প্রায় ৭ হাজার স্টেশন রয়েছে, যেখানে ভাড়া বাড়তে পারে৷ অতীতে উন্নয়নের খরচ তোলার জন্য বিমান যাত্রীদের ওপর লেভি ধার্য করা হতো। এবার রেলযাত্রীদের ওপর সেই একই কোপ পড়তে চলেছে। রেল সূত্রের দাবি,
খুব অল্প হারে টিকিটের দাম বাড়বে। সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক কোপ ফেলবে না। মন্ত্রকের সাফাই, স্টেশনের উন্নতি না হলে যাত্রীরাই সমস্যায় পড়বেন। তাই এই ভাড়া বৃদ্ধি একান্তই প্রয়োজনীয়৷ ভাড়ার এই বাড়তি অর্থ থেকেই স্টেশনের উন্নয়নের কাজ হবে। মন্ত্রকের দাবি, সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই পদক্ষেপ করবে রেল।

আরও পড়ুন : বন্যার আশঙ্কায় বাংলো ছাড়ার নোটিশ পেলেন এন চন্দ্রবাবু নাইডু
