Saturday, August 23, 2025

এনডিএ ভেঙে বিহার ভোটে একাই লড়বে পাশোয়ানের এলজেপি

Date:

Share post:

বিহার ভোটের মুখে বড় ভাঙন এনডিএ শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ-র সঙ্গে তুমুল বিরোধের জেরে জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেল রামবিলাস পাশোয়ানের দল। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ছেড়ে এবার একাই লড়বে বলে জানিয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি বা এলজেপি। যদিও বিহারে জোট ত্যাগ করলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের স্বার্থে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে না এলজেপি। বিজেপি ও এলজেপির সম্পর্কে কোনও চিড় ধরবে না বলে এদিন জানিয়েছেন চিরাগ পাশোয়ান। তাঁদের ঝগড়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও তাঁর পার্টি জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডিইউর সঙ্গে।

রবিবার সংসদীয় দলের বৈঠকে বিহারে জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলজেপি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, জেডিইউ-এর সঙ্গে রাজ্যস্তরে আদর্শগত পার্থক্য থাকায় বিহারের নির্বাচনে একা লড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথমে বিহার, প্রথমে বিহারি, এই স্লোগানকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে এলজেপি।

বিহারে ভোটের আগে এনডিএ ছাড়লেও কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার খাতিরে রামবিলাস পাশোয়ানের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেবে না তারা। অর্থাৎ বিধানসভার যে আসনগুলিতে বিজেপি প্রার্থীরা লড়বেন, সেখানে প্রার্থী দেবে না এলজেপি। অন্যদিকে, জেডিইউ-এর হাতে থাকা সমস্ত আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। রাজ্যে তাদের মূল শত্রু যে এনডিএ শরিক জেডিইউ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এলজেপি নেতারা। তাঁদের দাবি, জেডিইউকে হারানোর পর রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি ও এলজেপি জোট। সব মিলিয়ে, ভোটের মাত্র কয়েকদিন আগে ‘হাঁসজারু অবস্থা’ বিহারের শাসক শিবিরে। এনডিএর দুই শরিকের ঝগড়ায় বেইজ্জত বিজেপি।

আরও পড়ুন- রবিবাসরীয় শারজায় মুম্বইয়ের বড় জয়, ব্যর্থ হল ওয়ার্নারের ইনিংস

এলজেপির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এদিন জানানো হয়েছে, জেডিইউ-এর সঙ্গে মতাদর্শগত পার্থক্য হচ্ছিল অনেকগুলি আসনে। ভোটারদের অধিকার দেওয়া উচিত ছিল প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। এলজেপি চেয়েছিল বিহারকে বেশি গুরুত্ব দিতে। কিন্তু এই বিষয়ে দুটি দল এক মত হতে পারেনি। পাশাপাশি এলজেপির তরফে এও জানানো হয়েছে, জেডিইউ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলেও বিজেপির সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ একইরকম থাকবে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই তাঁরা আস্থা রাখছেন।

বিহারে তিন দফায় ভোট ২৮ অক্টোবর, ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর। ফল ঘোষণা ১০ নভেম্বর। করোনা মহামারির আবহে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল, সবার কাছেই এক বড় রাজনৈতিক পরীক্ষা।

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...