দিল্লি এবং বাংলার ওজনদার সব নেতাকে বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন-অভিযানে দেখা গিয়েছে৷ কিন্তু ওই দু’জনকে কোনও ক্যামেরাতেই দেখা যায়নি৷

রাজনৈতিক মহল ধরেই নিয়েছে, দলের সব ধরনের নেতা-নেত্রীরা থাকলেও, বিজেপি’র ‘এত বড়’ কর্মসূচিও ঠাণ্ডা মাথায় এড়িয়ে গিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অথচ দিনকয়েক আগেও ঘটা করে বিজেপির একগাদা নেতার নাম উল্লেখ করে তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন এই জুটি৷ মুখেই থাকলো তথাকথিত ‘কৃতজ্ঞতা’,
কাজের সময় বিজেপি এবারও পেলো না শোভন-বৈশাখীকে৷ অথচ এনারা আনুষ্ঠানিকভাবে
বিজেপি ছেড়েছেন, এমন খবরও নেই৷

শোভন-বৈশাখী নবান্ন- অভিযানে যোগ না দেওয়ায় বিজেপির অন্দরেই এদিন প্রশ্নের জোয়ার৷ দলের একাধিক নেতা প্রশ্ন তুলেছেন,
দলের সদস্য হয়েও শোভন কেন এই কর্মসূচি এড়িয়ে গেলেন, তা জানতে এখনই তাঁকে ‘শো-কজ’ করুন দলের শীর্ষ নেতারা৷

দলের সম্মান জড়িত ছিলো যে কর্মসূচি ঘিরে, সেখানেও যারা গরহাজির থাকেন, তাঁরা আদৌ দলের প্রতি দায়বদ্ধ নন৷ তাহলে শোভন-বৈশাখীকে দল এত ‘নম্বর’ দিচ্ছে কেন ? দল বহুদিন আগে থেকেই নিষ্ক্রিয় সদস্যদের ঝাড়াই-বাছাই শুরু করেছে৷ ঝাড়াই-কর্মসূচির আওতায় কেন আসছেন না এই দু’জন? প্রশ্ন উঠেছে, শোভনকে কী দলের নেতারা ‘অরণ্যদেব’ ভাবেন, যে নির্বাচনের সময় পিছন থেকে দলকে সাফল্য এনে দেবেন ? শোভনের থেকে ঢের অভিজ্ঞ নেতা বিজেপিতে আছেন, তাহলে এদের দায় কেন বহন করছে দল ?

এদিন যে চড়া সুরে দলের অন্দরে শোভন-বৈশাখীর সমালোচনা হয়েছে, তাতে জনাকয়েক নেতা এদের আর কতদিন ‘প্রোটেকশন’ দিতে পারেন, সেটাই এখন দেখার৷ এমনই বলছেন দলের একাংশ৷

আরও পড়ুন- সাহিত্যে নোবেল পেলেন আমেরিকান কবি লুইস গ্লাক
