অর্থনীতিতে নোবেল পেয়ে বাঙালিকে গর্বিত করেছিলেন আগেই। তাঁর হাত ধরেই ফের একবার বিশ্বমঞ্চে সম্মানিত হল বাঙালি। এই প্রথমবার কোনও বাঙালি তথা ভারতীয় হিসেবে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার ঐতিহ্যবাহী শান্তি পুরস্কার পেলেন অমর্ত্য সেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত গোটা বাংলা।

বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারির কারণে ফ্রাঙ্কফুর্টে এবার বই মেলা হচ্ছে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে। অনলাইনের মাধ্যমেই ঐতিহ্যবাহী এই বই মেলায় অংশ নিয়েছেন সারা বিশ্বের প্রকাশক ও লেখকরা। রবিবার সকালে ফ্রাঙ্কফুর্টের জনপ্রিয় পাউল গির্জায় দেশ-বিদেশের অতিথিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল এই শান্তি পুরস্কার। আর চলতি বছরের সম্মানীয় এই পুরস্কার পেলেন একদা নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেন। যদিও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও জার্মানির প্রেসিডেন্ট অমর্ত্য সেনের প্রশংসা করে একটি বিবৃতি পেশ করেছে।

আরও পড়ুন: শীর্ষে ওঠার ক্ষমতা আছে নারীর, প্রয়োজন একটু সমর্থন

দীর্ঘ দিন ধরেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অমর্ত্য সেন। কোনও দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো সেই দেশের দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও ব্যাধি থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে কীভাবে সম্পর্কিত, তা নিয়ে প্রচুর গবেষণা রয়েছে তাঁর। মানবিক বিকাশের সূচক সক্ষমতার ধারণাগুলিও তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে উপস্থাপন করে চলেছেন, যার ভিত্তিতে সমান সুযোগ ও মানবিক জীবনযাত্রার মূল্যায়ন করা যায়। এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার কমিটি বিচারকদের তরফে এই সমস্ত দিক বিচার করেই চলতি বছরের ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা থেকে শান্তি পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয় অমর্ত্য সেনকে। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সাল থেকে এই পুরস্কার দিচ্ছে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা। এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন অক্তাভিও পাজ, ইহুদি মেনুহিন, ওরহান পামুক, চিনুয়া আচেবের মতো ব্যক্তিত্ব।

