Sunday, August 24, 2025

মোদির জন্যই এই হাল, ভোটের বিহারে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ পরিযায়ী শ্রমিকদের

Date:

Share post:

“ওঁর নাম বলবেন না।” করোনাকালে প্রথম ভোট বিহারে। বৃজি রাজবংশের হাত ধরে গণতন্ত্র স্থাপন হয়েছিল যে বৈশালীতে, সেখানকার ভোটাররা নীতিশ কুমার এবং নরেন্দ্র মোদির উপর ক্ষিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম শুনতে নারাজ পরিযায়ী শ্রমিকরা।

কুদনি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন কেদার প্রসাদ গুপ্ত। আরজেডি প্রার্থী অনিল সাহানি। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ কাজের খোঁজে প্রতি বছর দিল্লি, মুম্বই এবং হরিয়ানায় যান। বাড়ি ফেরেন ছট পুজোর সময়। কিন্তু ভাইরাস সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে তছনছ হয়ে গিয়েছে জীবনের ছন্দ।

নিজেদের এই পরিস্থিতির জন্য নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় তুলছেন সংশ্লিষ্টরা। হরিয়ানার মজুরের কাজ করতেন জীতেন। বছর পঁচিশের ওই যুবক বলেন, ” প্রধানমন্ত্রীর জন্য আজ এই অবস্থা। হঠাৎ করে সব বন্ধ করে দিলেন। কাজ ছেড়ে এক কাপড়ে ফিরে আসতে হলো আমাদের। আয় বলতে এখন কিছুই নেই। ফিরে যাওয়ার টাকাও নেই। ওঁর নামটাও সহ্য করতে পারিনা।”

একাংশের পরিযায়ী শ্রমিকরা দিল্লি থেকে বিভিন্ন রাজ্যে ফিরেছেন। লকডাউন জারি হওয়ার পরে পায়ে হেঁটে নিজেদের রাজ্যে ফিরতে শুরু করেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার বাড়ি ফেরার আগেই পথে প্রাণ হারিয়েছেন। গোটা বিহার জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার খণ্ডচিত্র ছড়িয়ে আছে। দানাপুরের দশরথ চকের বাসিন্দা মনোজ কুমার পাঞ্জাবে ক্ষেত মজুরের কাজ করতেন। বাড়ি ফেরার জন্য এক লক্ষ টাকা ভাড়া দিয়ে ৬০ জন মিলে একটি ট্রাক ভাড়া করেছিলেন। কিন্তু সেই চালক মনোজদের বারাণসীতে নামিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর হেঁটেই বিহার সীমান্ত পৌঁছন তাঁরা।

শুধু নরেন্দ্র মোদির নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। কারণ, লকডাউনের প্রথম পর্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই ক্ষুব্ধ হন পরিযায়ী শ্রমিকরা। পরিযায়ী শ্রমিক বিরজু জানান, “ভেবেছিলাম রাজ্যে ফিরতে পারলে আমার কোনও চিন্তা নেই। কিন্তু কোথায় কী? রাজ্য সরকারই আমাদের ঘুরতে যেতে চায়নি। খাবার জল ছাড়া খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়। এমনকী পরিযায়ী শ্রমিকদের সরকার যে এক হাজার টাকা দেবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাও দেয়নি।’’

আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, সব দেশবাসীকে দেওয়া হবে কোভিড ভ্যাকসিন

spot_img

Related articles

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...

ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইলিশ উৎসব, পড়ুয়াদের জন্য পাতে ভাপা–ভাজা ইলিশ

বাজারে ইলিশের যা আগুন ছোঁয়া দাম তাতে উচ্চবিত্তদেরই পাতে ইলিশ জোটাতে হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। কিন্তু সেই  দুর্মূল্যের বাজারেই...

আমেরিকায় চিঠি–পার্সেল পাঠানোয় বিধিনিষেধ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের 

ভারত–মার্কিন শুল্কযুদ্ধের জেরে এবার বড়সড় প্রভাব পড়ল ডাক পরিষেবায়। আমেরিকায় চিঠি ও পার্সেল পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিধিনিষেধ জারি করল...