দিনহাটায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম ১৫, চিন্তায় শাসকদল

দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দুদিন ধরে দফায় দফায় বোমা-ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের জেরে জখম অন্তত ১৫ জন। বৃহস্পতিবার বিকেল ও শুক্রবার সকালে কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার ২ নম্বর ব্লকের শালামারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, গোলমালের সময়ে বেশ কিছু দোকানপাট লুট হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে কোচবিহারে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে এলাকায় পুলিশ বাহিনী টহলদারি শুরু করেছে।

এলাকা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার শালমারা এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতে প্রায় ১০ জন জখম হন। তাঁদের কয়েকজনকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছিল।

আরও পড়ুন : গরুকাণ্ডে এনামুল গ্রেফতার দিল্লিতে, কয়লাকাণ্ডে গুরুপদ জালে পুরুলিয়ায়

শুক্রবার সকালে শালমারা বাজারে আচমকা বোমা, অস্ত্র নিয়ে হামলা হয়। কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর, লুট হয় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীদের একাংশের দাবি, বোমা সহ একজনকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। হামলাকারীদের কয়েকটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। জনতার তাড়ায় হামলাকারীরা পালায় বলে দাবি। এর পরে সাহেবগঞ্জ ও দিনহাটা, দুই থানার পুলিশ এলাকায় গিয়ে টহলে নামে।

স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে খবর, গত অক্টোবর মাসে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের কমিটি তৈরি করেছে তৃণমূল জেলা কমিটি। ওই কমিটিতে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের অনুগামীদের কর্তৃত্ব রয়েছে বলে অভিযোগ। ওই নাজিরহাট অঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি তরণীকান্ত বর্মনের অনুগামীরা এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দুই গোষ্ঠী কদিন আগে পৃথকভাবে বিজয়া সম্মিলনী করেছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিষ্ণু সরকার অন্য গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানকে অবৈধ বলে কটাক্ষ করেন। তা নিয়ে মাঝে মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছিল।

বৃহস্পতিবার, শালমারায় উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সেখানে একটি গোষ্ঠীর লোকজন বেশি আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। তার জেরেই শুক্রবার ফের হামলা চালিয়ে অন্যপক্ষ শক্তি প্রদর্শন করেছে বলে অনুমান।

Previous articleফেব্রুয়ারিতেই দেশীয় ভ্যাকসিন আসছে, জানালো আইসিএমার
Next article‘দক্ষিণেশ্বর মন্দির ভারতের চেতনা বিকাশের মহাকেন্দ্র’, লিখলেন শাহ