আমেদাবাদ, পুণে ও হায়দরাবাদ। দেশের তিন শহরে করোনা ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক টিকা তৈরির অগ্রগতি চাক্ষুষ করতে আজ সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিন শহরে জাইডাস ক্যাডিলা, সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক এই তিনটি সংস্থার টিকা তৈরির কাজ ব্যক্তিগতভাবে নিজে দেখে বুঝে নিতে চাইছেন মোদি। তিনি এই সফরের মাধ্যমে নির্মাতা সংস্থাগুলির সঙ্গে সরাসরি কথা বলে জানতে চাইবেন, ভারতে কবে আমজনতার জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব।

এমনিতেই শীতকালে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে বিশ্বজুড়েই। সব দেশেরই নজর এখন করোনা ভ্যাকসিন তৈরির অগ্রগতির দিকে। একাধিক ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আগামী বছরের শুরুতে এসে যাবে ভ্যাকসিন। ভারতের মত বিরাট জনবহুল দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কর্মকাণ্ড যথেষ্ট জটিল। ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তুতি শুরু করেছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারগুলিকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় কোল্ডচেন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নিজে তিন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার কেন্দ্রে গিয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে গোটা প্রক্রিয়াটি বুঝে নিতে চান। কোন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটা, সাফল্যের সম্ভাবনা কতটা এবং কী পরিমাণে উৎপাদন সম্ভব, তা ব্যক্তিগতভাবে নিজে জেনে নেওয়ার জন্যই তাঁর আজকের সফর।
প্রধানমন্ত্রীর এদিনের কর্মসূচিতে প্রথমে আছে আমেদাবাদের জাইডাস ক্যাডিলার কেন্দ্র পরিদর্শন। প্রথম পর্বের ট্রায়াল শেষে তারা এখন দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল চালাচ্ছে। এরপর পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটে যাওয়ার কথা মোদির। বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম বানাচ্ছে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রোজেনেকারের করোনা প্রতিষেধক টিকা। এটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে খবর। এই ভ্যাকসিনটি দুটি ডোজ মিলিয়ে ৭০ শতাংশ কার্যকর হবে বলে সংস্থার দাবি। অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনটি তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ দেশিয় প্রযুক্তিতে এবং আইসিএমআরের সহযোগিতায়। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন-সুশীল মোদিকেই বিহার থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী করছে বিজেপি
