Thursday, August 28, 2025

আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুন্দরবনের ২০ কিমির মধ্যেই হরিণের খামার!

Date:

Share post:

আইনকে বৃদ্ধাঙুল দেখিয়ে সুন্দরবনের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে হরিণের খামার গড়েছেন সাতক্ষীরার জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুস সাত্তার মোড়ল। প্রসঙ্গত ২০১৭ সাল থেকে কার্যকর বিধিমালা অনুযায়ী, হরিণ বিচরণ ক্ষেত্রের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে খামার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু নিয়ম মানছেন না সাত্তার মোড়ল। সুন্দরবনের ২০ কিলোমিটারের মধ্যেই তিনি গড়ে তুলেছেন হরিণের খামার। সুন্দরবন সংলগ্ন শাওন ফিশ বন্দকাটি বাঁশতলা ইউনিয়নে ২০০৪ সাল থেকে হরিণের খামার পরিচালনা করছেন সাত্তার মোড়ল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার একটি সূত্র নাম জানায়, বন্দকাঠিতে সাত্তার মোড়লের হরিণ খামারটি সুন্দরবন থেকে ২০ কিলোমিটার মধ্যে রয়েছে। ২০১৭ বিধিমালা অনুযায়ী হরিণের খামার সুন্দরবন থেকে ন্যূনতম ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে হওয়ার কথা। কিন্তু এই খামারের ক্ষেত্রে বিধানটি মানা হচ্ছে না। তার খামারটি ২০০৯ সালে লাইসেন্স পায়। কিন্তু ২০১৭ সালের বিধিমালা অনুমোদন হলে ২০০৯ সালের বিধিমালা স্থগিত হয়। খামার মালিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ ঢাকায় নতুন করে আবেদন করেন। এই আবেদনের পর খুলনায় তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে পাঠানো হয়।

সাত্তার মোড়ল বলেন, ‘হরিণ দ্রুত বংশ বিস্তার করে। তার ওপর রোগবালাই নেই। মাত্র চারটি হরিণ থেকে কয়েক বছরে হরিণের সংখ্যা শত ছাড়িয়েছে। তবে সঠিক হিসাব দেওয়া যাবে না। রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালীর বাড়ির ফ্রিজে আমার খামারের হরিণের মাংস থাকে। আইন ও বিধিমালা নিয়ে ভাবছি না।’

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ ঢাকা থেকে ২০১৭ বিধিমালার আলোকে সাত্তার মোড়লের হরিণ খামার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে পাঠানো হয়। খুলনা থেকে বিষয়টি তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঢাকা থেকেই নেওয়া হবে। হরিণের খামারের বিষয়টি ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। খুলনায় এ খামার সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও ধরনের কার্যক্রম নেই।

আরও পড়ুন- আমি পাগলা ষাঁড় নই যে BJP-তে যাবো! দাদা শুভেন্দুকে কটাক্ষ ভাই দিব্যেন্দুর

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...