নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে নাম না করে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বিপুল জনসমাগমে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “কেউ কেউ একটু ইধার-উধার করছে। আগে তো সুপ্রকাশ গিরির (Suprakash Giri) সঙ্গে লড়, তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়বে। কেউ কেউ যেতেই পার। তাতে আপনারা চিন্তা করবেন না”।

তিনি বলেন, “কেউ কেউ আমাকে চোর বলছে। কিন্তু আমি তাদের উল্টে চোর বলব না। ওরা জানে না ওরা কী বলছে। ওদের সুস্বাস্থ্য কামনা করি। ওরা শতায়ু হোক। রাষ্ট্রপতি- প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু বাংলাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেললে তা বরদাস্ত করব না”।

রাজনৈতিক মহলের মতে, স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দিকে। তৃণমূল (Tmc) নেত্রী বলেন, রাজনীতিতে তিন ধরনের লোক হয়- লোভী, ভোগী আর ত্যাগী। যারা ত্যাগ করতে জানে তারা কোথাও যাবে না। আর একদলের প্রচুর সম্পত্তি, প্রচুর টাকা। সেই টাকা রক্ষা করতে তারা দল ছাড়ছে। বিজেপি (Bjp) ওয়াশিং পাউডার। কালো হয়ে ঢুকবে, সাদা হয়ে বেরিয়ে আসবে।
তেখালি জনসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম (Nandigram) আন্দোলনের কথা বলেন। তিনি বলেন, “আবু সুফিয়ান, আবু তাহেরের বাড়ি চিনি”। নন্দীগ্রামটা যে তার হাতের তালুর মতো চেনা সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। “নন্দীগ্রামের শহিদদের কোনদিন ভুলিনি, কোনদিন ভুলব না”। তিনি বলেন, পানীয় জলের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। নন্দীগ্রামের বাড়ি বাড়ি পানীয় পৌঁছে যাবে।

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছে দিল্লির (বিজেপি) নেতারা। তৃণমূলের যোগাযোগ করেন, বিজেপি ফেক ও ভেক দল।পুলওয়ামা বিজেপির গেম প্ল্যান ছিল। সব হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বাস করবেন না বলেও বার্তা দেন মমতা।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে প্রার্থী মমতা: দেখে নিন কীভাবে বিপাকে পড়ল বিজেপি
