ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে প্রায় ৩০ বছরের সম্পর্ক। কিন্তু বয়সের ভারে ন্যুব্জ আইএনএস বিরাটকে (INS Viraat) নিতে হয়েছে অবসর। ইতিমধ্যে কাটা হয়ে গিয়েছে জাহাজটির ৪০ শতাংশ অংশ। এমন সময় এল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্থগিতাদেশ। বহু ইতিহাসের সাক্ষী রণতরীটিকে যাতে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যায় সেই প্রচেষ্টা। তার জন্য জোড়া লাগাতে হবে ভেঙে ফেলা অংশ। এখন যা প্রায় অসম্ভব!

২০১৭ সালের অগাস্টে অবসর নিয়েছিল যুদ্ধজাহাজটি। এরপর সেটিকে নিলামে কিনে নেয় ‘শ্রীরাম গ্রুপ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। নিলামে কেনার পর শুরু হয়েছিল ভেঙে ফেলার কাজ। গুজরাটের (Gujarat) আলং শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে চলছিল জাহাজটিকে ‘অতীত’ করে দেওয়ার কাজ। বুধবার এই কাজের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। রণতরী বিরাটকে যাতে মিউজিয়ামে পরিণত করা যায় সে ব্যাপারে দাবি তুলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই দাবিতে কান না দিয়ে জাহাজ ভেঙে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল কোম্পানিটির।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আপাতত বন্ধ হয়েছে এই কাজ। ‘শ্রীরাম গ্রুপ’-এর চেয়ারম্যান মুকেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, গত বছর ৩৮.৫৪ কোটি টাকার বিনিময়ে জাহাজটিকে কিনে নিয়েছিল তাঁর সংস্থা। রণতরীটির ৪০ শতাংশ কাঠামো ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাই ভেঙে ফেলা অংশগুলিকে খুঁজে পুনরায় জোড়া লাগানোর কোনওভাবেই সম্ভব না। বিরাটকে ভেঙে বর্জিতাংশ হিসেবে বিক্রির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিল ‘Envitech Marine Consultants Pvt. Ltd’ নামের একটি সংস্থা। এই কোম্পানিটিও চেয়েছিল জাহাজটিকে কিনে নিতে। যদিও ভেঙে না ফেলে তারা সেটিকে মিউজিয়াম হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছিল বলে খবর।
