এতদিন চোখ বুজে থেকে অবশেষে পাল্টা চাপে ঘুম ভেঙেছে নির্বাচন কমিশনের। নন্দীগ্রাম সহ অন্যত্র ভোটপ্রচারে একতরফা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কথাবার্তা বলার দায়ে এবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর জবাব তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ তোলার পরই এ নিয়ে সক্রিয় হল কমিশন।

ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু? ২৯ মার্চের সভায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, একদিকে বেগম লড়ছেন। অন্যদিকে আমি কীর্তন গাইছি। আপনাদের পরিবারের ছেলে, ছোট ভাই, বন্ধু ও ছোটদের বড় দাদা। কাকে বাছবেন আপনারা? বেগমকে একটাও ভোট দেবেন না। বেগমকে ভোট দিলে নন্দীগ্রামটা মিনি পাকিস্তান হয়ে যাবে। শুধু এই একটি সভাই নয়, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সিংহভাগ প্রচারেই ছিল এই ধরনের উদ্দেশ্যমূলক সাম্প্রদায়িক উসকানি ও বিদ্বেষ। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কখনও মমতাজ বেগম সম্বোধন, কখনও নন্দীগ্রামের ভোটারদের একাংশকে পাকিস্তানি বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। নন্দীগ্রাম ছাড়া রাজ্যের অন্যত্রও সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টায় শুভেন্দু বিভাজনমূলক মন্তব্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, ধর্মের ভিত্তিতে ভোটপ্রচারের অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ইতিমধ্যে নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তার ২৪ ঘণ্টা পর ওই একই অভিযোগে বিদ্ধ হলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কাছে নোটিশ পাঠিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে কমিশন। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাম্প্রদায়িক প্রচার নিয়ে কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন সিপিআইএমএল নেত্রী কবিতা কৃষ্ণন। তাঁর দাবি, ঘৃণা-ভাষণ দিয়েছেন শুভেন্দু। তাই এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
