করোনা মহামারি (Corona Pandemic) আবহের মধ্যেই বাংলায় চলছে হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election)। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী চাপান-উতর অব্যাহত। তারই মাঝে এবার দক্ষিণ হাওড়ার (Howrah South) বিজেপি (BJP) প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্তর (Ranthideb Sengupta)বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললো তৃণমূল (TMC) শাসক দলের দাবি, করোনায় আক্রান্ত রন্তিদেব। কিন্তু কোনও কিছুকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক প্রচারে বুঁদ দক্ষিণ হাওড়ার প্রার্থী। মানুষের প্রতি ও সমাজের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই তাঁর। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ দায়ের করলেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নন্দিতা চৌধুরী। যদিও রন্তিদেব সেনগুপ্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি যথারীতি অস্বীকার করেন।

জানা গিয়েছে, গত ৬ এপ্রিল হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি জনসভা করেন। ওই সভার আগে গত ৪ এপ্রিল দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্তের সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই দিনই দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে তার সোয়াব টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। গত ৬ এপ্রিল টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যায়, রন্তিদেব সেনগুপ্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ।

অভিযোগ, করোনা পজিটিভ তা সত্ত্বেও তিনি প্রত্যেকদিন মিছিল-মিটিং, রোড শো এবং ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করেছেন। হাত ধরেছেন। এমনকি বিজেপির একাধিক প্রথম সারির নেতা এবং মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে রোড-শোতেও দেখা যায় তাকে । কিন্তু যখন তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় তিনি স্পষ্ট অস্বীকার করেন। প্রমাণ হিসেবে তিনি একটি করোনা রিপোর্ট পাঠান যেখানে প্রচুর অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়।

দক্ষিণ হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেবের করোনা রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বাস্থ্য দপ্তর পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছে। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে ডুমুরজলা মাঠ থেকে যে সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল এই রিপোর্টটি একেবারে ঠিক। তা সত্ত্বেও কিভাবে তিনি পুরো ব্যাপারটা চেপে গিয়ে প্রচারে অংশ নিলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ হাওড়া কেন্দ্রের প্রার্থী নন্দিতা চৌধুরী নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এবং বিদায়ী মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “রন্তিদেব সেনগুপ্তের করোনা সংক্রমণ হয়েছে জেনে তার হোম আইসোলেশনে থাকা উচিত ছিল। তা তিনি করেননি। এটা অন্যায়। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন- পয়লা বৈশাখ হুইলচেয়ারে ফের শহরের রাস্তায় মমতা

এমন মারাত্মক অভিযোগ পাওয়ার পর কমিশনের পক্ষে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
