দেশের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগের মাত্রা ছাড়াচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলোনায় পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি খানিকটা হলেও কম। তবে আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছোঁয়ার পথে। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে ইতিমধ্যেই কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। এবার করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এদিন ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সোমবার দুপুর দুটোয় সাংবাদিক বৈঠক করে করবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে আজ দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগেও একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন মোদি। ফের আজও বৈঠক করবেন তিনি।

আরও পড়ুন-মৃত্যু হলেও ৫০ লক্ষের বিমা বন্ধ করোনা যোদ্ধাদের, “অমানবিক” সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের

I have also directed all the top officials to make elaborate arrangements & step up their efforts at every level to deal with #COVID19 situation in WB. The Chief Secretary along with key officials will be doing a Press conference at 2PM to discuss the details of the plan. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 19, 2021
সোমবার প্রথম টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘ভারতে করোনা সংক্রমণের ব্যাপক বৃদ্ধির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের জনগণকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অতিরিক্ত ওষুধ ও টিকা দিয়ে সাহায্য করার আর্জি জানিয়েছি।’ দ্বিতীয় টুইটে মমতা লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিটি স্তরে মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আমি সব উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অন্যান্য আমলা দুপুর ২টোয় সাংবাদিক বৈঠক করে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন।’
রবিবারই বিবৃতি দিয়ে করোনা রুখতে বেশ কিছু বিধি নিষেধের কথা ঘোষণা করেছে নবান্ন। তাতে বাস-ট্রেন বা গাড়ি, যে কোনও গণপরিবহণেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছ। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা এবং সব বাণিজ্যিক ভবনগুলিকে সপ্তাহে অন্তত এক বার স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছে। সরকারি দফতরগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। দোকান-বাজার, কারখানায় কর্মচারী এবং গ্রাহক ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বেসরকারি সংস্থায় কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরেও নিয়ম ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের ওই বিবৃতিতে।
