হাইভোল্টেজ ভোটগণনার মধ্যেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে মোদি

৫ জেলার ভোটগণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২১এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বারবার নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ভোটগণনার দিনই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মোদি। আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। অক্সিজেনের ঘাটতি, প্রতিষেধক, ওষুধ, হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়।

গতকাল দিল্লির বাত্রা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ১২ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে এক চিকিৎসকের আত্মহত্যার খবরও পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এরমধ্যে সবথেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি রাজধানীতেই। কী কী কৌশল নিয়ে এগোলে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলতে পারে, তা পর্যাচলোচনা করতেই আজ সকালে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিপর্যস্ত গোটা দেশ।কোথাও অক্সিজেনের হাহাকার, কোথাও হাসপাতালের বেডের অভাব, কোথাও আবার জীবনদায়ী ওষুধের সঙ্কট। এইসব নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছে দিল্লি হাইকোর্টও। শুধু তাই নয় ভারত বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বেশি টিকা উৎপাদন করেও টিকার অভাব। মিলছে না টিকা। ১মে থেকে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের সবার জন্য দেশে টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যগুলির হাতে পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় তা শুরুই করা যায়নি। বেশির ভাগ রাজ্যই আগে জানিয়ে দিয়েছিল, যাদের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োজন তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।রবিবারের বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

Advt