Sunday, August 24, 2025

Breaking : অন্তর্দ্বন্দ্বে অন্তত ১৬ আসন হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস

Date:

Share post:

নির্বাচন শেষ, উপনির্বাচন বাকি। আপাতত নির্বাচনী তালিকা বলছে তৃণমূলের ঘরে জমা পড়েছে ২১৩টি আসন। খড়দায় উপনির্বাচন হবে। ভোটের পরের দিন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যু হয় কোভিডে। ফলে তাঁর কেন্দ্রে তৃণমূল জিতলেও ভোট হচ্ছেই। এছাড়া উপনির্বাচন হচ্ছে জঙ্গিপুর আর সামশেরগঞ্জে। কার্যত নিশ্চিত করে বলা যায় তিনটি কেন্দ্রেই অনায়াসে জিতবে তৃণমুল কংগ্রেস। ফলে আসন সংখ্যা ২১৫ হচ্ছেই।

কিন্তু তৃণমূলের অন্দরমহল বলছে এই সংখ্যাটা অনায়াসেই ২৩১ হতো। হয়নি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর অন্তর্ঘাতের কারণে। দেখা যাচ্ছে এই ধরণের আসন সংখ্যা প্রায় ১৬। আর এই অন্তর্ঘাতে অল্প ভোটে হারা আসনের সংখ্যা কম করে ১১।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই দাবি কী হাওয়ায় করা হচ্ছে? মোটেই না। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে একের পর এক অভিযোগ হেড কোয়ার্টারে জমা পড়তে শুরু করেছে। আর সে নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে হাতে গরম কিছু উদাহরণ সামনে এসেছে। সেগুলি কী?

উদাহরণ এক : পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর কেন্দ্র। এখানে তৃণমূল প্রার্থী হাজারি বাউরি পরাজিত হয়েছেন। আসনটি তৃণমূলের দখলে ছিল। পূর্ণচন্দ্র বাউরি বিধায়ক ছিলেন। এবার জেতা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু হারলেন কেন? হাজারি দলকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেই পূর্ণচন্দ্র বাউরির গোষ্ঠী পুরোদস্তুর বিজেপির হয়ে ভোট করেছে।

আরও পড়ুন-খাওয়ার সময় নেই, সারাদিন জ্বলছে চিতা, দিল্লির শ্মশানে শ্মশানকর্মীদের মর্মস্পর্শী কাহিনী

উদাহরণ দুই : আরামবাগ। তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। হারলেন কেন? সুজাতা দলকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, স্বপন নন্দী ও তার গোষ্ঠী বিজেপিকে সাহায্য করেছেন, অন্তর্ঘাত করেছেন।

উদাহরণ তিন : কৃষ্ণনগর উত্তর। তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। উল্টোদিকে বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায়। তৃণমূলের পুর প্রধান অসীম সাহা এবং অন্তত ৭জন কাউন্সিলর দলের প্রার্থীকে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ এসেছে।

এতো গেল কয়েকটি উদাহরণ। অন্তত ১১টি আসনে এই ঘটনা ঘটেছে। আর সব মিলিয়ে যোগ-বিয়োগ করলে এই সংখ্যাটা ১৬য় দাঁড়াবে। এগুলি নিশ্চিত তৃণমূলের জেতা আসন। আর তৃণমূলই তৃণমূলকে হারিয়েছে।

অন্তর্ঘাত কোথায় কোথায় হয়েছে? এই তিন জেলা ছাড়া অন্দরের খবর কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরেও একই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ যে শুধু প্রার্থীরা জানাচ্ছেন তাই নয়, পিকের টিমও একই কথা জানাচ্ছে।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূল যদি লড়াইয়ে না নামত তাহলে এই মুহূর্তে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ২৩১ গিয়ে দাঁড়াত! ভাবতে পারা যায়!

Advt

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...