দলবদলু তৃণমূলীদের গুরুত্ব দিয়েই বঙ্গে ডুবেছে গেরুয়া তরী, দাবি RSS মুখপত্রের

নির্বাচনের আগে হাওয়া বুঝে গেরুয়া শিবিরে ভিড় করা তৃণমূল নেতাদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই বিজেপির(BJP) সর্বনাশ হয়েছে। প্রকাশ্যে এই অভিযোগ তুলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে দোষারোপ করেছে রাজ্য বিজেপির একাংশ। এবার সেই একই সুর শোনা গেল আরএসএসের(RSS) গলাতেও। সম্প্রতি সংঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এর(organiser) সাম্প্রতিক সংখ্যায় স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে আসা নেতাদের ক্ষমতা ও প্রভাবের বিচার না করেই তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এটাই বাংলায় বিজেপির এত খারাপ ফলাফলের অন্যতম কারণ।

বৃহস্পতিবার আরএসএস-এর মুখপাত্র অর্গানাইজারে এক প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। ‘ব্যাড এক্সপিরিয়েন্স ইন বেঙ্গল’ নামের এই প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ১২১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়েছিল বিজেপি। তার পরেও বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৭৭ টি আসনে নেমে এসেছে। এই ফলাফলের পিছনে রয়েছে বিজেপির একের পর এক ভুল পদক্ষেপ। যার মধ্যে অন্যতম কোনরকম বাছবিচার না করে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বিজেপিতে জায়গা দেওয়া। এই ঘটনা দলের সমর্থকদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা ভেবে দেখার প্রয়োজন বোধ করেনি দলীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেনি সংঘ।

আরও পড়ুন:অক্সিজেনের অভাবে গোয়ায় চারদিনে মৃত্যু ৭৪ জন রোগীর, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

এছাড়াও একাধিক কারণ তুলে ধরে সংঘের তরফ জানানো হয়েছে ভোটের শেষ দুই দফায় করোনার বাড়বাড়ন্ত বিজেপির পারফরমেন্সকে নিচে নামিয়েছে। বাম ভোটের বেশিরভাগ অংশ তৃণমূলের দিকে যাওয়াও হারের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংঘ। একই সঙ্গে বিজেপির এই অভিভাবকের তরফে জানানো হয়েছে, এই নির্বাচনে ৪টি জেলায় বিজেপি একটিও আসন পায়নি। জঙ্গলমহলের মতো জায়গায় ৫১ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১৭। এই ঘটনা প্রমাণ করে তপশিলি জাতি ও উপজাতির ভোট এবং মতুয়া ভোট বিজেপির দিকে আসেনি। অন্যদিকে হারের কারণ প্রসঙ্গে বিজেপির পুরনো নেতৃত্বকে সাইডলাইনে পাঠিয়ে দলবদলু তৃণমূল নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজকমল পাঠক। তিনি স্পষ্ট জানান, ভোট পরিচালনা থেকে পুরনো নেতৃত্বদের দূরে সরিয়ে দেওয়া এই হারের অন্যতম কারণ।

Advt