মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা উপনির্বাচনের জেরে মৃত্যু হল ১৭ ভোট কর্মী সহ একাধিক নেতার

শুধুমাত্র বিধানসভা উপনির্বাচন(bypoll election)। তার জেরেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মধ্যপ্রদেশে প্রাণ গেল ১৭ জন ভোট কর্মীর। এখানেই শেষ নয় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিরোধী দলের একাধিক নেতা ও তার আত্বীয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের(Madhya Pradesh) ধামোহা বিধানসভা(Dhamoha assembly) কেন্দ্রে।

জানা গিয়েছে, উপ নির্বাচনের আগে মধ্যপ্রদেশের ধামোহা কেন্দ্রের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলার করোনার প্রকোপ যথেষ্টই কম ছিল। তবে নির্বাচনের পর কার্যত মৃত্যু মিছিল শুরু হয় এখানে। গত ১৭ এপ্রিল উপনির্বাচন হয় ধামোহা কেন্দ্রে‌। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস বিধায়ক রাহুল সিং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর উপ নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে এখানে। নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপি-কংগ্রেস সমস্ত দলই ব্যাপক রাজনৈতিক জনসভা করে এই জেলার একাধিক জায়গায়। ভিভিআইপি নেতাদের তালিকায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পাশাপাশি ছিলেন কমলনাথ, দ্বিগবিজয় সিংয়ের মতো নেতারা। আর সেই নির্বাচনের মাশুল এখনো গুনতে হচ্ছে এই জেলাকে।

আরও পড়ুন:ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ শোভনদেবের, মুখ্যমন্ত্রী ফিরছেন তাঁর পুরনো কেন্দ্রেই!

ধামোহার জেলাশাসক কৃষ্ণ চৈতন্য সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বীকার করে নেন, “নির্বাচনের পর থেকে এখনো পর্যন্ত ২৪ জন ভোট কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এখানে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ পরিবার অভিযোগ করেছে ভোটের সময় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই প্রাণ দিয়েছে তাদের। মৃতদের মধ্যে ১৭ জনের নাম আমরা ইতিমধ্যে নথিভুক্ত করেছি।” ভোট কর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। নির্বাচনের পর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সংখ্যাটাও নিতান্ত কম নয়। তথ্য বলছে, ওই এলাকার কংগ্রেস নেতা ব্রজেন্দ্র সিং রাঠোর করোনায় প্রয়াত হয়েছেন ভোটের পরই। প্রাণ গিয়েছে রাজ্যের মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী মাণ্ডবী চৌহানের। মৃত্যু হয়েছে কংগ্রেস সেবা দলের নেতা মার্তণ্ডে সিংয়ের। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে তাদের অন্তত ছয়জন নেতা ওই অঞ্চলে ভোট প্রচারে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এক নির্বাচনের পর এত মৃত্যুর ঘটনায় ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের। পাশাপাশি শুধুমাত্র একটি জেলায় যদি এই মৃত্যু মিছিল শুরু হয় তাহলে গোটা রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি কী তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

Advt